close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
রাজধানী ঢাকা এবং তার আশপাশের এলাকায় ৮টি গোপন বন্দিশালার সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসব বন্দিশালায় সাধারণ বন্দীদের সঙ্গেই রাখা হতো অনেক নিরীহ ব্যক্তি, যাদের উপর চলত অমানবিক নির্যাতন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই বন্দিশালাগুলিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও মানুষ আটক করা হতো এবং তাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হতো।
বন্দিশালাগুলির অবস্থান গোপন ছিল, এবং এখানে আটক ব্যক্তিদের কোন আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হতো না। একাধিক বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে যে, নির্যাতিতরা নিজেদের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে জানান যে, তাদেরকে সাধারণ বন্দীদের সঙ্গে রাখা হতো, যেখানে বন্দীদের উপর অত্যাচার ও নিপীড়ন ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ। বিশেষ করে যারা রাজনৈতিক কারণে বা অন্য কোন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে আটক হয়েছিল, তাদের শিকার হতে হতো আরো বেশি নিপীড়নের।
অন্যদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই গোপন বন্দিশালাগুলির সন্ধান পাওয়ার পর একাধিক অভিযান পরিচালনা করেছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন প্রধান সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে এবং তারা শীঘ্রই আদালতে হাজির করা হবে। প্রাথমিক তদন্তে এই ধরনের বন্দিশালাগুলির মাধ্যমে একটি বিশাল অপরাধ চক্র পরিচালিত হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই অবস্থা সম্পর্কে স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলো তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং সরকারের কাছে অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। তারা মনে করে, এই ধরনের ঘটনা শুধুমাত্র রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিকেই ক্ষুণ্ণ করে না, বরং মানবাধিকারের অধিকারকেও হুমকির মধ্যে ফেলে।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে, সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে এবং তারা জানতে চায়, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এটি একটি বড় ধরনের অনৈতিক ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং এই বিষয়ে আরও তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটিত হতে পারে।
No comments found