বাংলাদেশের ইসলামি শিক্ষার ধারায় যুক্ত হওয়া অন্যতম প্রতিষ্ঠান ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (ইআবি) ২০২২ সালের বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে মোট ৬৮ জনকে মেধাবৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফাজিল ও কামিল পর্যায়ের এই শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন মাদরাসায় অধ্যয়নরত ছিলেন এবং ভালো ফলাফলের মাধ্যমে এই স্বীকৃতি অর্জন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ফাজিল (স্নাতক পাস), ফাজিল (স্নাতক অনার্স), কামিল (দুই বছর মেয়াদি), এবং কামিল (এক বছর মেয়াদি) মাস্টার্স কোর্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ট্যালেন্টপুল ক্যাটাগরিতে ১৬ জন এবং বিষয়ভিত্তিক সাধারণ মেধাবৃত্তির আওতায় ৫২ জনকে মনোনীত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কামিল (স্নাতকোত্তর) প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ অলী উল্যাহ গত ২৬ জুন এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে, মনোনীত শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগতভাবে কিংবা প্রতিনিধির মাধ্যমে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের কামিল প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে মেধাবৃত্তির অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন। অর্থ গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল জমা দিতে হবে:
-
সদ্য তোলা একটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
-
পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের ফটোকপি (যে পরীক্ষার ফলাফলের জন্য বৃত্তি পেয়েছেন)
-
জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি
এই নথিপত্র যাচাইয়ের পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির অর্থ হস্তান্তর করবে।
এ বছর বৃত্তির পরিমাণও শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ উৎসাহব্যঞ্জক। যারা সম্মিলিতভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন এবং ট্যালেন্টপুলে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদেরকে এককালীন ১৫ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হবে। অন্যদিকে, বিষয়ভিত্তিক সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা পাবেন ১০ হাজার টাকা করে।
দেশের ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও গতি দিতে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ধরনের মেধাবৃত্তি প্রদান কার্যক্রমকে শিক্ষাবিদরা অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। একদিকে যেমন এতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ বাড়বে, অন্যদিকে মাদরাসা শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে এমন পদক্ষেপ সরাসরি ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়াও বিভিন্ন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের এই সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন আরও উদ্যোগের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে।