close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

৬ প্রতীক নিয়ে বিকেল ৩টায় নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি,..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আজ বিকেল ৩টায় ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন জমা দিচ্ছে, ৫ থেকে ৬ প্রতীকের মধ্যে দল বেছে নেবে তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতীক হিসেবে।..

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন একটি দল “জাতীয় নাগরিক পার্টি” বা এনসিপি তাদের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। আজ রোববার (২২ জুন) বিকেল ৩টায় এনসিপি নির্বাচন কমিশনে তাদের দল নিবন্ধনের আবেদনপত্র জমা দেবে। দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচন কমিশনে আবেদন জমা দেওয়ার সময় এনসিপির প্রতিনিধি দল উপস্থিত থাকবে। এতে দলের রাজনৈতিক ভবিষ্যত আরও সুদৃঢ় হবে এবং তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অংশগ্রহণ শুরু করতে পারবে।

এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দলটি তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতীক নির্বাচন করার জন্য ৫ থেকে ৬টি প্রতীক প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করেছে। তবে আবেদন জমা দেওয়ার পর গণমাধ্যমে সেগুলো প্রকাশ করা হবে।

গত শুক্রবার দলের সাধারণ সভায় দলের নেতারা প্রতীক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এর মধ্যেই দলটির অধিকাংশ সদস্য ‘মুষ্টিবদ্ধ হাত’ প্রতীককে পছন্দ করেছেন, যা দেশের ২৪ ফেব্রুয়ারি গণঅভ্যুত্থান এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই প্রতীক এনসিপির রাজনৈতিক ভাবনা ও অঙ্গীকারকে সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, “দলের জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠনসহ সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করা হয়েছে। আমরা ইসি’র কাছে আবেদন জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। আশা করছি, আমাদের দল দ্রুত নিবন্ধিত হবে।”

এর আগে, নির্বাচন কমিশন ১০ মার্চ নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন জমার সময়সীমা ধার্য করে। কিন্তু এনসিপি ১৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনকে ৯০ দিন সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়। পরে ইসি ২২ জুন পর্যন্ত আবেদন গ্রহণের সময় বাড়িয়ে দেয়।

এনসিপির এই পদক্ষেপ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন শক্তি যোগ করবে এবং ভবিষ্যতে দেশের নির্বাচনী মাঠে তাদের অংশগ্রহণে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

নিবন্ধনের আবেদন জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এনসিপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী দিনে এনসিপির কার্যক্রম কেমন হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বড় ধরনের আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

Ingen kommentarer fundet