close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

৬ দফা দাবিতে কর্ম বিরতি পালন করছেন কসবা উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা..

সাইদুল ইসলাম avatar   
সাইদুল ইসলাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে..

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান ও ব্যানার হাতে নিয়ে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।

কর্মসূচিতে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন কসবা শাখার সভাপতি তানিয়া সুলতানা, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল বাশার সুমন, কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক মো. আবু জামাল, কার্যকরী সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

কর্মবিরতিতে অংশ নিয়ে নেতারা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির সময় আমাদের কেউ চিনতো না, হাসপাতালে পর্যন্ত আনতে ভয় পেত। তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা স্বাস্থ্য সহকারীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। দেশের প্রতিটি নাগরিককে আমরা ভ্যাকসিন দিয়েছি। অথচ আজ আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো বাস্তবায়নে সরকারের এতো গাফিলতি কেন?

বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন কসবা শাখার সভাপতি তানিয়া সুলতানা বলেন, জন্মের পর থেকেই একজন শিশুকে ১০টি টিকা দিয়ে থাকি আমরা। তারপরও আমাদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়া হয় না। অথচ পশু-পাখির টিকা দানকারীরাও টেকনিক্যাল মর্যাদা পান। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা অবিলম্বে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা চাই। প্রধান সমন্বয়কারী মো. আবু জামাল বলেন, ১৮ বছর ধরে চাকরি করছি, তবু আজও আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সরকার আসে, সরকার যায়—কিন্তু আমাদের দাবি শুধু প্রতিশ্রুতির গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ থাকে। যৌক্তিক দাবিগুলোর প্রতি সরকারের এমন অনীহা দুঃখজনক। সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য খাতে যত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এসেছে, তার পেছনে স্বাস্থ্য সহকারীদেরই ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তারপরও আমাদের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের মতোই থেকে গেছি আমরা। সরকারের কাছে বারবার আবেদন করেও আমরা ফল পাইনি।

স্বাস্থ্য সহকারীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, নিয়োগবিধি সংশোধন, শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (বিজ্ঞান) সংযোজন, ১৪তম গ্রেডে বেতন স্কেল প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের সুযোগ, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান এবং ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ।

তারা জানান, এই কর্মসূচির আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি ও আবেদন দিয়ে তাদের দাবির বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তবে প্রতিশ্রুতি ছাড়া কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না থাকায় তারা এই কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন ও দ্রুত তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন না করা হয়, তবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হবে।

 

 

Ingen kommentarer fundet


News Card Generator