close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

৪৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ জালে জর্জরিত দেশ: মেগা প্রকল্পের সুফলের বদলে চাপ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দেশের ভবিষ্যৎ কি ঋণের চাপে ধ্বংস হবে? বড় বড় প্রকল্পের নামে ঢালাওভাবে বিদেশি ঋণ নেওয়ার ফলে সরকার এখন গভীর অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। কর্ণফুলী টানেলসহ একাধিক মেগা প্র
দেশের ভবিষ্যৎ কি ঋণের চাপে ধ্বংস হবে? বড় বড় প্রকল্পের নামে ঢালাওভাবে বিদেশি ঋণ নেওয়ার ফলে সরকার এখন গভীর অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। কর্ণফুলী টানেলসহ একাধিক মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়নের পর সেগুলোর সুফল আর্থিক চাপ সামলাতে ব্যর্থ হচ্ছে। অর্থনীতিতে প্রত্যাশিত ফলাফল না আসায় এসব প্রকল্প এখন সরকারের কাঁধে ফাঁস হয়ে দেখা দিয়েছে। নাগরিক প্ল্যাটফর্মের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে ২০টি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে নেওয়া ৪৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ দেশের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণ রাশিয়া, জাপান এবং চীনের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। ২০২৮ সালের তিনগুণ বেশি ঋণ চাপের আশঙ্কা পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নেওয়া এই ঋণের কারণে ২০২৮ সালের মধ্যে দেশের উপর চাপ বাড়বে তিনগুণ। অন্তর্বর্তী সরকারের শ্বেতপত্র অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ২.৭৩ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৩.২ বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের মতে, রাজস্ব আহরণ ও রেমিট্যান্স আয়ের সীমাবদ্ধতার কারণে এই চাপ আরও বাড়বে। তিনি বলেন, "এভাবে ঋণ পরিশোধ রাষ্ট্রের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে।" খরচ আর সুফলের অমিল বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের পর সেগুলোর কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, খুলনার খালিশপুরে রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র গ্যাস সংকটের কারণে চালু হতে পারছে না। ফলে বিদেশি ঋণের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু প্রকল্প যা ঋণের চাপ বাড়াচ্ছে ১. কর্ণফুলী টানেল: চীনের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধ প্রকল্প উদ্বোধনের আগেই শুরু হয়েছে। ২. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র: রাশিয়ার অর্থায়নে তৈরি এই প্রকল্পের ঋণও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৩. পদ্মা সেতু রেল সংযোগ: চীনের সঙ্গে ২.৬৬ বিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি শেষ হওয়ায় এখন থেকে ১৫ বছর ঋণ পরিশোধ করতে হবে। উদ্বেগের কারণ শ্বেতপত্রে আরও বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১.৭৪ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২.৪৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই পরিমাণ আরও বেড়ে ২.৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে। ড. জাহিদ হোসেনের মতে, ঋণের যথাযথ ব্যবহার না হওয়ায় এবং তা পাচারের কারণে জনগণের করের টাকায় এসব ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে।
No comments found