close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন হবে , মাহবুবুর রহমান..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে দূর হবে বৈষম্য, উন্নত হবে জনগণের জীবনমান—বলে মন্তব্য করলেন যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান। এটি হতে পারে দেশের রাজনীতিতে নতুন যুগের সূচনা।..

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদ্য সাবেক সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান বলেছেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে দীর্ঘদিনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর হবে এবং জনগণের জীবনমানের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটবে।

বুধবার (২ জুলাই) জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “এই ৩১ দফা কোনো সাধারণ রাজনৈতিক অঙ্গীকার নয়, এটি একটি রূপান্তরমূলক রূপরেখা, যার মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি স্তরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।

তিনি উল্লেখ করেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষিত ‘ভিশন ২০৩০’ এবং তারেক রহমানের ২৭ দফা কর্মসূচির সম্মিলিত ধারাবাহিকতায় এই ৩১ দফা রূপরেখা গঠিত হয়েছে।পাহাড় থেকে হাওর, শহর থেকে গ্রাম—সব এলাকায় মানুষের সমস্যার সুনির্দিষ্ট সমাধান এই রূপরেখায় তুলে ধরা হয়েছে, — বলেন মাহবুবুর রহমান।

তিনি আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংকট এবং গভীর দুর্নীতির জাল ভেঙে একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনে এই দফাগুলো সহায়ক হবে। ৩১ দফা কেবল বিরোধী দলের রাজনৈতিক দাবিপত্র নয়, এটি হতে পারে একটি পূর্ণাঙ্গ রূপকল্প, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যত দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করতে পারে।

সাক্ষাৎকারে মাহবুবুর রহমান ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, “সেই দিনগুলো কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল আত্মত্যাগ, সহমর্মিতা এবং সাহসিকতার অনবদ্য অধ্যায়। আমরা যারা রাজপথে ছিলাম, তারা কেবল দলের কর্মী হিসেবে নয়—একটি ন্যায্য রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সৈনিক হিসেবেও ভূমিকা রেখেছি।”

তিনি গর্বভরে বলেন, বিএনপি সেই আন্দোলনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। আমাদের ইতিহাস সংগ্রামের, আমাদের পথচলা ন্যায়ের পক্ষে। এটাই আমাদের পরিচয়, এটাই আমাদের শক্তি।

মাহবুবুর রহমান দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই ৩১ দফা যেন কেবল ঘোষণায় সীমাবদ্ধ না থাকে। জনগণের সচেতন অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক ঐক্য এবং দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে আমরা এটি বাস্তবায়ন করতে পারি। দেশের জন্য এটাই এখন সবচেয়ে জরুরি।”

যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো প্রথাগত প্রতিশ্রুতির বেড়াজালে আবদ্ধ থাকে, সেখানে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঘোষিত ৩১ দফা এক নতুন দিগন্তের সূচনা করতে যাচ্ছে। এতে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, বিএনপি কেবল সরকার পরিবর্তনের জন্য নয়—রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামো পুনর্গঠনের একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে।

Không có bình luận nào được tìm thấy