২০২৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর কি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন? এই প্রশ্নই এখন রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রে। গোলাম মাওলা রনি তার এক সাম্প্রতিক ভিডিও বিশ্লেষণে তারেক রহমানের সম্ভাব্য দেশে ফেরা এবং এর রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
রনির মতে, বিএনপির পক্ষ থেকে ২৫ ডিসেম্বরকে তারেক রহমানের দেশে ফেরার চূড়ান্ত তারিখ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রয়েছে নানামুখী ঝুঁকি ও সম্ভাবনা।
রনি মনে করেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের দেশে ফেরা তার জন্য সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ। তবে নেতা হিসেবে এই ঝুঁকি নেওয়াটাই তার দায়িত্ব। যদি তিনি দেশে ফিরে শক্ত হাতে দলকে মাত্র ১৫ দিন পরিচালনা করতে পারেন, তবে তিনি অঘোষিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবির্ভূত হবেন এবং রাজনীতির আকাশে পূর্ণিমার চাঁদের মতো প্রভাব বিস্তার করবেন।
তারেক রহমানের আগমনকে সফল করতে রনি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন: ১. বিশাল জনসমাগম: তারেক রহমানের আগমনের দিন ঢাকা শহরে অন্তত ৫০ লাখ লোকের সমাগম নিশ্চিত করতে হবে। এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে রাস্তার দুই পাশে জনসমুদ্র তৈরি করতে হবে। ২. জাতীয় সংবর্ধনা: তাকে বরণ করতে এয়ারপোর্টে দেশের বরেণ্য ব্যক্তি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এটি তাকে কেবল দলীয় নেতা নয়, বরং জাতীয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। ৩. মিডিয়া ও বিরোধ এড়িয়ে চলা: দেশে ফেরার পর অন্তত নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তাকে মিডিয়ার সাক্ষাৎকার এবং দলীয় বিরোধ নিষ্পত্তি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন রনি। তার মতে, অতিরিক্ত এক্সপোজার তার আকর্ষণ কমিয়ে দিতে পারে।
রনি সতর্ক করে বলেন, যদি তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে মানুষের আগ্রহ এক সপ্তাহের বেশি ধরে রাখা না যায়, তবে তা বুমেরাং হতে পারে। বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার দেশে ফেরার পরবর্তী পরিস্থিতির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ধীরস্থিরভাবে পদক্ষেপ না নিলে রাজনীতির এই 'কম্পন' ভূমিকম্প বা সুনামিতে রূপ নিতে পারে।



















