close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
বিশেষ প্রতিবেদন: শিক্ষার্থীদের দল গঠনের ঘোষণা আসতে পারে ২১ ফেব্রুয়ারিতে! প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে!
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আসতে চলেছে এক নতুন মোড়! আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন কিংবা এর আশেপাশে শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। দেশের শিক্ষা ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসা জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একত্রিত হয়ে এই নতুন দলের ঘোষণা দিতে পারে বলে জানা গেছে।
আত্মপ্রকাশের দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও প্রস্তুতি সম্পন্ন!
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানিয়েছেন, ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যে কোনো দিন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। তবে নির্দিষ্ট তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা দল ঘোষণার সব কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
লংমার্চ ও জনসম্পৃক্ততার উদ্যোগ
নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের অংশ হিসেবে জুলাই আন্দোলনের শহিদ আবু সাইদের বাড়ি থেকে চট্টগ্রামের শহিদ ওয়াসিমের বাড়ি পর্যন্ত লংমার্চ আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দল ঘোষণার পর দেশব্যাপী ১৫ দিনের এই লংমার্চের মাধ্যমে জনগণের মাঝে তাদের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
নতুন দলের নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রথমে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে এবং ঈদের পর কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ দলীয় কাঠামো চূড়ান্ত করা হবে। দল গঠনের পরপরই নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হবে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় দলীয় কাঠামো তৈরির কাজও চলছে।
জনগণের মতামত নিচ্ছে নাগরিক কমিটি
নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ও কাঠামো চূড়ান্ত করতে ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ নামে সপ্তাহব্যাপী একটি কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মতামত সংগ্রহ করা হবে এবং আগামী দুই দিনের মধ্যে ৫ লাখেরও বেশি মানুষের মতামত নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
কারা থাকছেন নেতৃত্বে?
নাগরিক কমিটির সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে দলের আহ্বায়ক করার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভাব্য সদস্য সচিব হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন নাগরিক কমিটির বর্তমান সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ।
এছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব মাহবুব আলম ও অনিক রায়ও শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে পারেন।
শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক সংগঠনেরও ঘোষণা আসতে পারে!
শুধু রাজনৈতিক দল নয়, পাশাপাশি একটি ছাত্র সংগঠনেরও আত্মপ্রকাশ হতে পারে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নতুন ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক কমিটি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার এবং আব্দুল কাদেরকে ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে আনার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, সমন্বয়ক রশিদুল ইসলাম রিফাত, হাসিব আল ইসলাম এবং জাহিদ আহসানও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে থাকতে পারেন। দল ঘোষণার পর সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জেলাগুলোতে নতুন ছাত্র সংগঠনের কমিটি গঠন করা হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে নতুন দল
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নতুন এই শিক্ষার্থী নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল দেশের তরুণদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে। তাদের কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
এখন দেখার বিষয়, এই নতুন রাজনৈতিক দল দেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে কতটা পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট—এই দলটি শুধু ছাত্রদের জন্যই নয়, বরং পুরো দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে বদলানোর লক্ষ্যে এগিয়ে আসছে!
আপনার মতামত কী? নতুন এই রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে কতটা পরিবর্তন আনতে পারবে? মতামত দিন নিচে!
Không có bình luận nào được tìm thấy