ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেরা পারফরমারদের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে এমন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
২০০৬ সালের পর আর এই পুরস্কারপ্রাপ্তি অনুষ্ঠানের কোনো ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেনি বিসিবি। এত বছর পর সেই প্রচলন আবারও ফিরিয়ে আনার ঘোষণা এলো। গত রোববার অনুষ্ঠিত বিসিবির বোর্ড সভায় এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যান্য শীর্ষ দেশ যেমন ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড প্রতিবছরই নিজেদের সেরা ক্রিকেটারদের পুরস্কৃত করে। এবার সেই রীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশেও চালু হতে যাচ্ছে ‘ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ড নাইট’। শুধু ক্রিকেটারই নয়, এই আয়োজনের আওতায় পারফরম্যান্স মূল্যায়নের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন মাঠকর্মী ও সাংবাদিকরাও।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানান, এটি শুধুমাত্র এক বছরের আয়োজন নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ। অন্তত ৪-৫ বছর ধরে নিয়মিতভাবে এই আয়োজন চালিয়ে নিতে চায় বিসিবি।
তিনি বলেন, এটা আমাদের প্রোগ্রামেরই একটা অংশ। হাই পারফরম্যান্স ফর অল—এই ভাবনার সঙ্গে জড়িত খেলোয়াড়দের মনোবল ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ব্যাপারটিও। ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুপ্রাণিত করতেই আমরা ‘ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ড নাইট’ চালু করব। এটি শুধু এক বছরের জন্য নয়, বরং ৪-৫ বছরের একটি পরিকল্পনার আওতায় আনা হচ্ছে।”
বুলবুলের নেতৃত্বে বিসিবি শুরু থেকেই দেশের ক্রিকেট কাঠামো উন্নয়নের দিকে মনোযোগী। আর এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান সেই উন্নয়নেরই আরেকটি ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে।