রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের আয়োজনে ‘ইস্যুজ অ্যারাউন্ড পেডাগোজি: টিচিং-লার্নিং স্ট্রাটেজিস ইন আর্টস এন্ড হিউম্যানিটিজ ফর দ্যা টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। এতে ১৩টি দেশের চার শতাধিক গবেষক অংশগ্রহণ করছেন। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ৯টি ভেন্যুতে ৩৬টি সেশনে মোট ২১৬টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় গ্লোবাল মানে এক উচ্চ অবস্থান অধিকার করেছে। সম্প্রতি অর্জিত বিশ্ব র্যাংকিং এ সেটির স্পষ্ট প্রমাণ। আমাদের কলা অনুষদ ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় জ্ঞানচর্চায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছে এবং ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এই অবস্থান আরও দৃঢ় হবে।”
উপাচার্যের কথায় উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের বিশেষ গুরুত্ব, যেখানে বিভিন্ন শিল্প ও মানবিক শাখার শিক্ষাবিজ্ঞান আধুনিক ও কার্যকর উপায়ে উন্নয়ন করা হচ্ছে। সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আধুনিক শিক্ষণ-শেখার কৌশল নিয়ে বৈশ্বিক বোধ বৃদ্ধি এবং এ ক্ষেত্রের গবেষণা ও উদ্ভাবনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা।
কলা অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক মুহাম্মদ বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, রাবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান, মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটা প্রফেসর রোজনানি হাশিম ও প্রফেসর রাদওয়ান জামাল ইউসুফ আল-আতরাশ।
সম্মেলনের মূল আলোচনায় থাকবে শিক্ষার আধুনিক পদ্ধতি, বিভিন্ন শিল্প ও মানবিক শিক্ষার নতুন কৌশল, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উভয়ের জন্য কার্যকর পদ্ধতির অবদান, এবং বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে শিক্ষাবিজ্ঞানের প্রভাব।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষাবিজ্ঞানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির নতুন পথ সুগম হলো। শিক্ষাবিদ, গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা একসাথে মিলিত হয়ে শিক্ষার আধুনিকায়নে নতুন দিকনির্দেশনা তৈরি করছেন, যা ভবিষ্যতে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নত করার পাশাপাশি বিশ্বমঞ্চেও মর্যাদা বৃদ্ধি করবে।
অন্যদিকে, এই সম্মেলন রাবি কলা অনুষদের গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যা শিক্ষাবিজ্ঞানের নতুন নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কার এবং তা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। উপস্থিত গবেষকরা তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে শিক্ষাবিজ্ঞানের গ্লোবাল ট্রেন্ডের সাথে সামঞ্জস্য রাখার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
২১৬টি গবেষণা প্রবন্ধের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে শিক্ষাবিজ্ঞানের নানা দিক থেকে আলোচনা ও বিশ্লেষণ করা হবে। এতে শিক্ষাবিদরা শিক্ষা নীতিমালা, শিক্ষকের দক্ষতা উন্নয়ন, শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা বৃদ্ধি ও আধুনিক শিক্ষণ প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করবেন।
এভাবে, রাবি আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি শিক্ষাবিজ্ঞানের জন্য এক গুরুত্বপূর্ন মাইলফলক, যা শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়নে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে এবং দেশের শিক্ষাকে বিশ্বমানে পৌঁছে দেবে।