ঢাকা, ১৬ জুলাই:
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় আদালতে হাজির করা হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) তাকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়ার আদালতে হাজির করে দুদকের পক্ষ থেকে তদন্তের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। দুদকের উপপরিচালক এস এম রাশেদুল হাসানের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক মামলার অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সব নথিপত্র দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ডা. দীপু মনি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫ কোটি ৯২ লাখ ২ হাজার ৫৩০ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া, তার ২৮টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৫৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৩১ টাকার অস্বাভাবিক আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি দুদকের।
আদালতে নিজের বক্তব্য দিতে গিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, “আমি সংবাদপত্রে দেখেছি যে, আমার নামে ২৮টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ আমি নিজেও জানি না আমার এতগুলো অ্যাকাউন্ট আছে! আমার মাত্র ৬টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। আমি কিছুই জানি না, আমাকে অন্ধকারে রেখে এই মামলা করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সব মিলিয়ে আমার ৬-৭ কোটি টাকার সম্পদ থাকতে পারে। আমি ন্যায়বিচার চাই। সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে চাই। কিন্তু অভিযোগের সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া লড়াই করাও সম্ভব না। আমি চাই, আমার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে—তা বিস্তারিতভাবে জানানো হোক।”
এ সময় আদালতে উপস্থিত দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, “দুদক সব সময় তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে কাজ করে। শুধু দীপু মনির নামে নয়, তার সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবেও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত অনুযায়ী, সব তথ্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে।”
আদালতের কাছে কারাগারে নিজের অবস্থার কথাও তুলে ধরেন ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, “আমি গত ১১ মাস ধরে কারাগারে আছি। অথচ এই দীর্ঘ সময়ে আইনজীবীর সঙ্গে মাত্র দুইবার দেখা করার সুযোগ পেয়েছি। আমাকে আইনজীবীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, যা আমার ন্যায্য অধিকার।”
আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে মামলার নথিপত্র দ্রুত দাখিলের নির্দেশ দেন এবং পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।



















