কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
শর্টস সৃষ্টি
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে গভীর নলকূপের লাইনম্যান আবু সাইদকে (৬০) হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে
হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার বরাইল ইউনিয়নের কালাইগাড়ি মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু সাইদ উপজেলার বরাইল ইউনিয়নের রেলগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গভীর নলকূপে লাইনম্যান ও পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আবু সাইদ। রাতেও নিয়মমতো দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ভোরে ফোনে যোগাযোগ করে না পেয়ে নলকূপের ঘরে গিয়ে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয়দের ধারণা, পরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাটে ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি শিকদার উজির আলী এবং প্যানেল চেয়ারম্যান জুয়েল এর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি সদস্যরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গাংনী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য জাকির বিশ্বাস, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য ফারুক আহমেদ, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মো. হান্নান, ৭নং ওয়ার্ড সদস্য আলী আহমেদ শেখ, ৮নং ওয়ার্ড সদস্য হাফিজুর রহমান ও ৯নং ওয়ার্ড সদস্য হাবিবুর রহমানসহ এলাকাবাসী।
বক্তারা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর শিকদার উজির আলী স্বেচ্ছাচারিতা শুরু করেছেন। তিনি ইউনিয়নের জনগণের কোনো সেবা দেন না, বরং সেবা নিতে গেলে ঘুষ দিতে হয়। ট্যাংকি, টিউবওয়েলসহ বিভিন্ন প্রকল্পের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া পরিষদে তিনি নিয়মিত আসেন না, ফলে ইউনিয়নের জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে মৌলিক সেবা থেকে।
৭নং ওয়ার্ড সদস্য আলী আহমেদ শেখ অভিযোগ করে বলেন, “চেয়ারম্যান এত বেশি স্বেচ্ছাচারিতা করেছে যা বর্ণনা করা কঠিন। পরিষদের ব্যাংকে থাকা প্রায় ৬ লাখ টাকা তিনি তুলে আত্মসাৎ করেছেন। এমনকি আড়াই বছর ধরে ইউপি সদস্যদের সম্মানী ভাতা দেননি।”
বক্তারা যেকোনো মূল্যে বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগের দাবি জানান। তাদের মতে, এভাবে চলতে থাকলে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ আরও সেবা থেকে বঞ্চিত হবে এবং দুর্নীতির শিকার হবে।



