close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

উপজেলা পর্যায়ে স্থায়ী আদালত সম্প্রসারণে জাতীয় ঐকমত্য, বিরোধী দলগুলোর গুরুত্বপূর্ণ শর্ত..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Consensus builds among political parties for expanding lower courts to upazila level, though concerns over location and corruption risks were raised.

উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত স্থাপনে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে উঠেছে। তবে কিছু রাজনৈতিক দল শর্তসাপেক্ষে ভৌগোলিক অবস্থান ও দুর্নীতির শঙ্কার কথা জানিয়েছে।

 

বিচার প্রার্থীদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছাতে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণের প্রস্তাবে একমত হয়েছে দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো। তবে তারা শর্তসাপেক্ষে এ সমর্থন দিয়েছে, যেখানে ভৌগোলিক দূরত্ব, জনগণের চাপ ও দুর্নীতির সম্ভাবনার বিষয়গুলো বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে।

সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে অনুষ্ঠিত সংলাপে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন এবং আদালত সম্প্রসারণের বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হন।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যে সব উপজেলায় জেলা সদরের কাছাকাছি অবস্থান, সেখানে নতুন করে আদালত স্থাপন না করাই যুক্তিযুক্ত। বরং দূরবর্তী ও জনবহুল উপজেলাগুলোতে মামলার চাপ ও যাতায়াতের অসুবিধার কারণে সেখানে স্থায়ী আদালত স্থাপন করাকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।

বর্তমানে দেশে যেসব উপজেলায় চৌকি আদালত পরিচালিত হয়, সেগুলোকে পর্যবেক্ষণ করে স্থায়ী আদালতে রূপান্তরের বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। তবে সব চৌকি আদালতকে সরাসরি স্থায়ী রূপ দেয়ার আগে, কোনগুলো প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর হবে তা পুনর্বিবেচনার কথাও উঠে আসে প্রস্তাবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, “জেলা সদর থেকে খুব কাছে যেসব উপজেলা, সেখানে নতুন আদালত স্থাপন অর্থহীন হবে। একইসাথে তিনি বলেন, জেলা সদরের মধ্যেই যদি উপজেলা আদালত বসানো হয়, তবে সেটাও অর্থহীন হবে।” তিনি এক্ষেত্রে একটি জাতীয় সমীক্ষা চালানোর সুপারিশ করেন।

তবে এক ভিন্নমত দেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ। তিনি বলেন, “উপজেলা পর্যায়ে আদালত হলে দুর্নীতি বাড়বে—এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বরং এতে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত হয়রানি থেকে মুক্তি পাবে।” তিনি আরও বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে হবে, পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।”

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, প্রয়োজনে সংসদীয় আসনভিত্তিতে আদালত স্থাপন করা হোক এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হোক। তিনি সময়সীমা নির্ধারণের আহ্বান জানান।

সংলাপে আরও বলা হয়, উপজেলা আদালতগুলোতে সিনিয়র সহকারী জজ ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে হবে। দেওয়ানি মামলার আর্থিক এখতিয়ার বৃদ্ধি করে তাকে আরও বাস্তবায়নযোগ্য করতে হবে। একইসাথে উপজেলা পর্যায়ে আইনগত সহায়তা কার্যক্রমও বিস্তৃত করতে হবে।

একাধিক দলের পক্ষ থেকে সুপারিশ আসে যে, সরকারকে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের রোডম্যাপ প্রকাশ করতে হবে।

অধস্তন আদালত সম্প্রসারণের আলোচনা শেষে জরুরি অবস্থার সংবিধান সংশোধন নিয়েও আলোচনা হয়। এতে বলা হয়, সংবিধানের ১৪১ ক, খ, গ অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে হবে, কারণ বর্তমান বিধান নাগরিক অধিকারকে সংকুচিত করে এবং আদালতের ক্ষমতা হ্রাস করে।

নতুন প্রস্তাবনায় বলা হয়, জরুরি অবস্থার মেয়াদ ৬০ দিনের বেশি হতে পারবে না এবং এই সময়ে কোনো নাগরিকের মৌলিক অধিকার স্থগিত করা যাবে না। আদালতে যাওয়ার অধিকারও সীমিত করা যাবে না।

Tidak ada komentar yang ditemukan