উপজেলা পরিষদের বাউন্ডারি ভেঙে পকেট গেট নির্মাণ দাবিতে মানববন্ধন..

Md Humayun avatar   
Md Humayun
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের পূর্ব পার্শ্ব এবং পূর্ব দক্ষিণ পার্শ্বের বাউন্ডারি স্থলের পূর্বের রাস্তা ও গেইট খুলে দেওয়ার দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চ..

মানববন্ধনে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবি, সন্জিত কুমার পন্ডিত, শিক্ষক আবু আশরাফ মন্ডল, সবুজ মেম্বার, ইঞ্চান মিয়া, জহিরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতায় বলেন, পৌরসভার পূর্ব এবং দক্ষিণ পার্শ্বের ৮নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দাদের, মসজিদে নামাজ আদায় ও স্কুলগামী, ছাত্র -ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার সুবিধার্থে উপজেলা পরিষদের পূর্ব পার্শ্বের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস সংলগ্ন পূর্বের এলজিইডি ১০ থেকে ১২ফিটের যে লম্বা রাস্তাটি ছিল সেই রাস্তার সূত্র ধরে পকেট গেইট নির্মাণ এবং উপজেলা পরিষদের পূর্ব দক্ষিণ পার্শ্বের মৎস্য অফিস সংলগ্ন বাউন্ডারি স্থলের পূর্বের রাস্তা ও গেইট খুলে দেওয়ার দাবী জানান তাঁরা। 

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলা পরিষদের দক্ষিণ পার্শের বাসিন্দাদের সুবিধার্থে উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তা দেয়াল ভেঙে একটি পকেট গেট নির্মাণ করা হয়েছে। এর পরেই উপজেলা পরিষদের অন্যপাশের বাসিন্দারা তাঁরাও তাদের সুবিধার্থে উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তা প্রচীর ভেঙ্গে পকেট গেট নির্মাণ করা দাবী তুলেন।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার জানান, কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের দক্ষিণ দিকে বসবাসকারী বাসিন্দারা আমার বরাবর গত ০৬ এপ্রিল একটি লিখিত আবেদন দাখিল করেন যেখানে তারা কোভিড-১৯ এর সময় বন্ধকৃত পকেট গেইটটি খুলে দেবার জন্য অনুরোধ করেন যাতে তারা আগের মত মসজিদে, পুকুরে এবং সহজে পরিষদের অপর পাশে যাতায়াত করতে পারে। এ প্রেক্ষিতে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে গত ১৩ এপ্রিল অনুলিপির প্রাপ্ত হয়ে উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস একটি লিখিত আদেশ দেন উক্ত পকেট গেইটটি খুলে দেবার জন্য। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের পশ্চিম দিকে আরেকটি বন্ধকৃত পকেট গেইট খুলে দেবার জন্যও আবেদন দাখিল করেন পশ্চিম দিকের মুসল্লিগণ। এ প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করলে সকল সদস্যদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় সরকার বিভাগে অনুমতির জন্য প্রাক্কলনসহ পত্র লিখি। সে অনুযায়ী জরুরী ভিত্তিতে আমরা গেইট দুটি খুলে দিতে গেলে দক্ষিণ দিকের বাসিন্দারা দাবি করেন পূর্বের বন্ধকৃত জায়গার স্থলে নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের জন্য ঠিকাদার মজনু খন্দকার যেখানে দেয়াল ভেঙেছিল সেখানে করে দেয়ার জন্য। সে প্রেক্ষিতে আমরা সেখানেই পূর্বের গেইটের সাইজেই একটি গেইট নির্মাণ করে দিলে নির্মাণের পরের দিনই পুনরায় দক্ষিণ দিকের এলাকাবাসী পুনরায় গেইটি বড় করে দিয়ে সেখানে মাইক্রোবাস, এম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস সহ বড় গাড়ী যাবার উপযোগী করে গেইট নির্মাণের জন্য পুন: আবেদন করেন। ততক্ষণে পরিষদের পূর্ব দিকের বাসিন্দারা পূর্বের চন্দগাতীগামী বন্ধকৃত এলজিইডির রাস্তাটি খুলে দিয়ে সেখানে একটি বড় গেইট ও জনম্বাস্থ্য অফিসের সাথে একটি পকেট গেইট করে দেয়ার আবেদন করেন। প্রায় মাস দুয়েক আগে আবার এলাকার যুবসমাজ বিএডিসির জরাজীর্ণ পরিত্যাক্ত ভবনের পাশে একটি ছোট ইনডোর স্টেডিয়াম ও সংলগ্ন একটি পকেট গেইট করে দেয়ার জন্য আবেদন করে। সার্বিক বিষয়টি আমি গত ২৩ এপ্রিলে একটি জরুরী সভায় পরিষদে উত্থাপন করলে পরিষদের সকল সদস্য মূল ফটক ছাড়া আর কোন ফটক না রাখার পক্ষে মতামত দেন। সে প্রেক্ষিতে আমি সার্বিক বিষয়টি মতামতের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণ করেছি। মন্ত্রণালয়ের মতামত প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে।

No se encontraron comentarios