ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ১২ ফেব্রুয়ারি: সিইসির তফসিল ঘোষণা..

Md Mamun Molla avatar   
Md Mamun Molla
****

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ১২ ফেব্রুয়ারি: সিইসির তফসিল ঘোষণা
মোঃ মামুন মোল্লা মুকসুদপুর প্রতিনিধি 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট। ওই দিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

১২ কোটির বেশি ভোটার, প্রবাসীরাও ভোট দেবেন

এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ১২ কোটি ৭৬ লাখের বেশি। প্রথমবারের মতো ব্যাপক পরিসরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ৩ লাখের বেশি প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।

ইউনূস সরকারের ১৬ মাস পর তফসিল

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়। দায়িত্ব গ্রহণের ১৬ মাস পর নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলো।

নির্বাচনের সময় নিয়ে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

বিএনপিসহ কয়েকটি দল প্রথমদিকে গত বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দাবি করেছিল। পরে গত ৬ জুন জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস জানান, নির্বাচন হবে ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে।
পরবর্তীতে ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের বিষয়ে একমত হন।
এর ধারাবাহিকতায় সরকার ও ইসি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়। গত ১৩ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দেন—গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। আজ সিইসির ঘোষণায় সেই দিন-তারিখ চূড়ান্ত হলো।

৫৬টি নিবন্ধিত দল, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত

ইসি সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কমিশনে ৫৬টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত আছে। তবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে। ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
নিবন্ধিত দলের বাইরে যেকোনো যোগ্য নাগরিক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন।

নতুন কমিশনের প্রথম জাতীয় নির্বাচন

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ২১ নভেম্বর এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। তাদের অধীনেই এবারই প্রথম জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দুটি ভোট একই দিনে হওয়ায় সময় ব্যবস্থাপনাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ইসি। এই কারণে এবার ভোটের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে এবং ভোটকেন্দ্রে গোপন কক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।

৯ লাখ নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর সশস্ত্র বাহিনীসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকবে।
দেশব্যাপী নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রায় ৯ লাখ সদস্য মোতায়েন করা হবে—যা বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে সর্বোচ্চ। পাশাপাশি দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে বিশেষ নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

Không có bình luận nào được tìm thấy


News Card Generator