close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
ট্রাম্পের বিস্ফোরক প্রস্তাব: গাজা দখল, মার্কিন মালিকানা এবং ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন
ওয়াশিংটন ডিসি: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও আলোড়ন তুললেন। হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি ঘোষণা দিলেন, "গাজা স্ট্রিপ আমাদের দখলে নেবো এবং এটিকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরায় পরিণত করবো।"
এই ঘোষণা নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের মধ্যে। ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রায় ১.৮ মিলিয়ন ফিলিস্তিনিকে গাজা থেকে স্থায়ীভাবে সরিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে এবং মার্কিন সৈন্যদের গাজা পুনর্গঠনে মোতায়েনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হয়নি।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার মূল কথা:
গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন
মার্কিন সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা
গাজার উপর "দীর্ঘমেয়াদি মার্কিন মালিকানা"
গাজাকে "বিশ্বমানের" শহরে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি
ট্রাম্প বলেন, "ফিলিস্তিনিদের আর কোনো বিকল্প নেই। গাজা এখন ধ্বংসস্তূপ। আমরা এটিকে সুন্দর করে তুলবো, যেখানে তারা নিরাপদে থাকতে পারবে।"
মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদের প্রতিক্রিয়া:
ট্রাম্পের এই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে মিশর, জর্ডান, সৌদি আরবসহ অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্র। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, "ফিলিস্তিনের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা আমাদের অটল অবস্থান।"
মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি এবং জর্ডানের রাজা আব্দুল্লাহও এই প্রস্তাবকে কঠোরভাবে নাকচ করেছেন।
আমেরিকার অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া:
ডেমোক্র্যাট সেনেটর ক্রিস মারফি বলেন, "তিনি পুরোপুরি পাগল হয়ে গেছেন। গাজা দখলের জন্য মার্কিন সেনা প্রেরণ করা মানে মধ্যপ্রাচ্যে বিশৃঙ্খলা ডেকে আনা।" রিপাবলিকান সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, "দেখা যাক আমাদের আরব মিত্ররা কী বলে। তবে আমেরিকানরা গাজা দখলের জন্য আগ্রহী নয়।"
নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্পের সম্পর্ক:
নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা যখন ক্ষয়িষ্ণু, তখন ট্রাম্পের পাশে দাঁড়ানো তার জন্য রাজনৈতিক সুবিধাজনক। নেতানিয়াহু বলেছেন, "আপনি এমন কথা বলেন যা অন্যরা বলতে ভয় পায়। এবং শেষে সবাই বুঝতে পারে, আপনি ঠিকই বলেছিলেন।"
হামাসের প্রতিক্রিয়া:
হামাস ট্রাম্পের প্রস্তাবকে "অস্থিতিশীলতার রেসিপি" বলে অভিহিত করেছে। "গাজার জনগণ তাদের ভূমি ছেড়ে যাবে না," তারা জানিয়েছে।
ট্রাম্পের এই প্রস্তাব মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। গাজার ভবিষ্যৎ এখন আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। বিশ্ববাসী তাকিয়ে আছে—গাজা কি শান্তির রূপকথা হবে নাকি নতুন যুদ্ধের অগ্নিকুণ্ড?
Nenhum comentário encontrado



















