close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ট্রাম্প-মোদি বৈঠক: বাংলাদেশ ইস্যু কি আলোচনায় আসবে?

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দুই দেশের সম্পর্কে অস্থিরতা, মোদির মার্কিন সফর ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন যুক্
দুই দেশের সম্পর্কে অস্থিরতা, মোদির মার্কিন সফর ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠকে বাংলাদেশ ইস্যু আলোচনায় আসবে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়া নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। এর মধ্যেই সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যদিও কূটনৈতিক চেষ্টায় সাময়িকভাবে উত্তেজনা কমানো সম্ভব হয়েছিল, কিন্তু এরপর শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক অনলাইন ভাষণ ও তার প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করেছে। মোদির মার্কিন সফরে বাংলাদেশ ইস্যু উঠে আসবে? নরেন্দ্র মোদি আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আসবে কি না, এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলেননি ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, আঞ্চলিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ইস্যু আলোচনায় আসতে পারে। মিশ্রি সাংবাদিকদের জানান, "আমি নিশ্চিত নই যে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আলোচনায় আসবে কিনা, তবে এটি উঠে আসতে পারে। বৈঠকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে, তবে কোনো নির্দিষ্ট বিষয় আসবে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।" বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা এবং কূটনৈতিক টানাপোড়েন শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণের পর বাংলাদেশে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। শেখ হাসিনার ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সমর্থকদের প্রতিবাদ করতে বলা হয়েছিল, যার জেরে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গেট ভাঙচুর করে এবং অগ্নিসংযোগ করে। বিক্ষুব্ধরা ওই বাড়িটিকে ‘স্বৈরাচারের প্রতীক’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এর ফলে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে। শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর ভারতের প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা নিয়েও কূটনৈতিক মহলে নানা আলোচনা চলছে। বিক্রম মিশ্রি বলেন, "কূটনৈতিক ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোস্ট দেশের দায়িত্ব। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন রয়েছে।" মোদির সফরে আর কী থাকছে আলোচনায়? বাংলাদেশ ছাড়াও মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনায় আসতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে— ✔ বাণিজ্য প্রসার ✔ প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ✔ প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার ✔ অভিবাসন নীতি ও অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে, যা ভারতীয়দের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এছাড়া, চীনের আঞ্চলিক আধিপত্য রুখতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদি-ট্রাম্প বৈঠক শুধু ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কই নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশ প্রসঙ্গ সেখানে কতটা গুরুত্ব পায় এবং এর প্রভাব ভারত-বাংলাদেশ কূটনীতির ওপর কেমন হয়।
Walang nakitang komento


News Card Generator