close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ট্রা ম্পে র যু দ্ধ বিরতি ঘোষণার পর কমছে তেলের দাম

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৪% হ্রাস, এশিয়ার শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বগতি—মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিতে অর্থনৈতিক অস্থিরতায় নতুন মোড়।..

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার জেরে টালমাটাল ছিল বিশ্ব অর্থনীতি। কিন্তু সেই অস্থিরতা প্রশমনের পথে যেন এক শক্তিশালী বার্তা পাঠালেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সম্প্রতি একটি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন, যার প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারে নাটকীয় পরিবর্তন দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, এতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে এশিয়ার বড় বড় শেয়ারবাজারগুলোতেও।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৮ ডলারের কাছাকাছি নেমে এসেছে, যা এক দিনে প্রায় ৪ শতাংশ হ্রাস। এর আগের দিন সোমবারের ট্রেডিং সেশনে দাম ৭ শতাংশ পর্যন্ত পড়ে গিয়েছিল, যা সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বড় পতনগুলোর একটি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ হ্রাসের ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। বিশেষত, সেই ১২ই জুনের তুলনায় এখন দাম আরও কম, যেদিন ইসরায়েল প্রথমবার ইরানের অভ্যন্তরে সামরিক অভিযান চালায় এবং এর ফলে উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়।

বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীরা যুদ্ধের আশঙ্কায় একপ্রকার আতঙ্কে ছিলেন, যা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে বড়সড় প্রভাব ফেলেছিল। কিন্তু ট্রাম্পের হঠাৎ এই যুদ্ধবিরতির বার্তা অনেকটাই স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনছে।

তেলের দামের পতনের পাশাপাশি সবচেয়ে দৃশ্যমান প্রভাব পড়েছে এশিয়ার শেয়ারবাজারে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধান স্টক সূচকগুলোতে তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিশ্ববাজারে যেকোনো বড় অস্থিরতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে জ্বালানির দাম। এখন সেই দাম কমার ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে।

বিশ্ববাজারে স্থিতিশীলতা আনতে যুদ্ধবিরতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা বাস্তবে রূপ নেয় এবং উভয় পক্ষ আন্তরিক থাকে, তাহলে আগামী দিনগুলোতে তেলের দাম আরও কমতে পারে এবং শেয়ারবাজার আরও চাঙ্গা হতে পারে।

তবে একইসাথে তারা এই বিষয়েও সতর্ক করেছেন যে, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফলে অস্থিরতা যে একেবারে পেছনে পড়ে গেছে—তা বলার সময় এখনো আসেনি।

বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্য, পরিবহন খরচ, এবং পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা সরাসরি তেলের দামের উপর নির্ভর করে। সেই কারণে তেলের দামে এই ধরণের বড় পতন মানেই হলো আন্তর্জাতিকভাবে পণ্যের দামও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধবিরতির ফলে যে অস্থিরতা প্রশমিত হচ্ছে তা বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির জন্য শুভ লক্ষণ। তবে এই স্থিতিশীলতা যেন টেকসই হয়, সেজন্য শুধু ঘোষণা নয়, বাস্তব পদক্ষেপ দেখতে চান তারা।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, পুরো বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তেলের দাম পড়ে যাচ্ছে, শেয়ারবাজার চাঙ্গা হচ্ছে, এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গায় ফিরছে স্থিরতা। তবে বিশ্ব এখন তাকিয়ে আছে—এই শান্তির আহ্বান কতটা দীর্ঘস্থায়ী হয়।

コメントがありません


News Card Generator