close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ট্রা ম্পে র বিরল বক্তব্য, সরকার পরিবর্তন নয়, ই রা ন কে আবার মহান করতে হবে..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানে ‘সরকার পরিবর্তন’ শব্দটি ভুল, তবে ইরান আবার মহান না হলে পরিবর্তন আসতেই পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মনোভাবেও এখন পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।..

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। রোববার বিকেল ৫টায় নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি প্রকাশ্যে বলেন, “সরকার পরিবর্তন (রেজিম চেঞ্জ) শব্দটি রাজনৈতিকভাবে সঠিক নয়। কিন্তু যদি ইরানের বর্তমান শাসনব্যবস্থা দেশটিকে আবার মহান করতে না পারে, তাহলে কেন সরকার পরিবর্তন হবে না? মিগা!!!” এখানে ‘মিগা’ বলতে ‘মেক ইরান গ্রেট এগেইন’ বোঝানো হয়েছে।

এই মন্তব্যের মাধ্যমে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য শুধুমাত্র ইরানের বর্তমান শাসন ব্যবস্থাকে উৎখাত করা নয়, বরং ইরানের ভবিষ্যত উন্নয়ন ও শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে আসাকে উৎসাহিত করা। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, যদি এই পরিবর্তন সম্ভব না হয়, তাহলে ‘সরকার পরিবর্তন’ হতেই পারে।

এর আগে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক বক্তব্যে উল্লেখ করেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের বিরুদ্ধে হামলার উদ্দেশ্য ছিল পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা, সরকার পরিবর্তন নয়। হেগসেথের এই মন্তব্য ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সঙ্গে কিছুটা সাংঘর্ষিক এবং এ নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের মধ্যে মতপার্থক্য স্পষ্ট।

ট্রাম্প আরও একটি পোস্টে জানিয়েছেন, ইরানে হামলার জন্য ব্যবহৃত বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমানগুলো নিরাপদে মিসৌরির ভিত্তিতে ফিরে এসেছে। এই তথ্য যুদ্ধপরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং সামরিক কার্যক্রমের সফলতার ইঙ্গিত দেয়।

মার্কিন-ইরান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই জটিল ও উত্তেজনাপূর্ণ। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং মধ্যপ্রাচ্যে এর প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। তবে ট্রাম্পের নতুন মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি কিছুটা নমনীয় হচ্ছে, যেখানে সরাসরি সরকার পরিবর্তনের বদলে দেশটির সার্বিক উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বক্তব্যের মাধ্যমে ট্রাম্প ইরানের জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতাদের মাঝে সম্ভাব্য বার্তা পাঠাচ্ছেন যে, যদি দেশটি উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে বাইরের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হবে না। অন্যদিকে, যদি ইরান তার বর্তমান পথে থাকে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কড়াকড়ি নীতি অব্যাহত রাখতে বাধ্য হবে।

মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উত্তেজনা, পারমাণবিক চুক্তির ভবিষ্যত, এবং ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনা ও চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রাম্পের এই মন্তব্য সেই প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

বর্তমানে ইরানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও যুক্তরাষ্ট্রের নীতিমালা কিভাবে পরিবর্তিত হবে, সেটাই আন্তর্জাতিক রাজনীতির অন্যতম বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সময়ই দেখাবে, এই নতুন রণনীতি কিভাবে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলে।

Inga kommentarer hittades