close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ট্রা ম্প কি ই রা নে র পা র মা ণ বি ক শ ক্তি হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিলেন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামরিক হামলা ইরানকে আরও উগ্র করে তুলেছে। ইরানের পারমাণবিক ভবিষ্যৎ এখন আগ্নেয়গিরির কিনারে—বিশ্ব আতঙ্কে কাঁপছে। কী হবে পরবর্তী ধাপ?..

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার দীর্ঘ সময়ের টানটান উত্তেজনার এক নতুন বাঁক শুরু হলো, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সাহসী ও বহুল আলোচিত পদক্ষেপ নিলেন—ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সরাসরি সামরিক হামলা চালিয়ে।
যে লাল দাগ অতিক্রম করা থেকে কয়েক দশক ধরে মার্কিন প্রশাসনরা বিরত ছিল, সেই সীমা এবার ভেঙে পড়ল ট্রাম্পের একমাত্র ঘোষণাতেই। এখন প্রশ্ন—এই ধ্বংসের মধ্যেই কি জন্ম নিচ্ছে আরও বিপজ্জনক এক পারমাণবিক শক্তি?

শান্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প এবার সরাসরি যুদ্ধের পথে হাঁটলেন। তাঁর নির্দেশেই তেহরানের ফোর্ডো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান পারমাণবিক কেন্দ্রে ভয়াবহ বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
বলা হচ্ছে—এটি ‘মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় B-2 স্ট্রাইক’।
এই সিদ্ধান্ত কেবল মধ্যপ্রাচ্য নয়, পুরো বিশ্ব রাজনীতিকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি এখন বাঙ্কারে। কিন্তু তার নির্দেশের অপেক্ষায় পুরো ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনী।
একদিকে সম্মান রক্ষার দায়, অন্যদিকে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ—এই দুইয়ের ভারে খামেনির প্রতিক্রিয়া হবে বিশ্ব-পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ।
চ্যাথাম হাউস বলছে, “খামেনির সিদ্ধান্ত কেবল রাজনীতির নয়, ইতিহাসের দিক থেকে বিশাল প্রভাব ফেলবে।”

গত দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধে যতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, ইসরায়েলের কয়েক সপ্তাহের হামলায় ততটাই ক্ষতি হয়েছে। নিহত হয়েছে শীর্ষ সেনা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা।
আর এই সংঘাতে আমেরিকার প্রবেশ মানেই বিশ্বযুদ্ধের আগমনী বার্তা।
IRGC হুঁশিয়ারি দিয়েছে—এবার এমন প্রতিশোধ আসবে যা যুক্তরাষ্ট্রকে ‘স্থায়ী অনুশোচনায়’ ফেলবে।

বিশেষজ্ঞ হামিদরেজা আজিজ বলছেন—“ই যুদ্ধ ইরান চায় না। কিন্তু ইরানের ভাবমূর্তি এখন এতটাই নড়বড়ে যে পাল্টা জবাব না দিলে সেটা ভেঙে পড়বে।
তবে এই প্রতিক্রিয়াই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ—মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। যেকোনো আঘাত মার্কিন পাল্টা যুদ্ধকে অনিবার্য করে তুলবে।

বিশ্বের ২০% তেল পরিবহনের পথ—হরমুজ প্রণালী। যদি ইরান সেটা বন্ধ করে দেয়, তাহলে শুধু আমেরিকা নয়, চীনসহ আরব মিত্ররাও তীব্র ক্ষতির মুখে পড়বে।
এটা যুদ্ধের পথ আরও প্রশস্ত করবে। ইউরোপীয় মিত্ররাও চাপে পড়বে, এবং বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল হয়ে উঠবে।

ট্রাম্প দাবি করেছেন—তিনি শান্তির পক্ষপাতী। তবে বর্তমান হামলা এমন এক বার্তা দিচ্ছে, যা ইরানকে অস্ত্র তৈরি করতে আরো উসকে দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ এলি গেরানমায়েহ বলেন, “ট্রাম্প যে হুমকি ঠেকাতে চেয়েছিলেন, তার পদক্ষেপেই এখন পারমাণবিক অস্ত্রে রূপ নিতে চলেছে ইরান।”

ইরান এখন আর আলোচনায় বিশ্বাস করছে না। আরাঘচি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—“যতদিন বোমা পড়বে, ততদিন আমরা আলোচনায় ফিরব না।”
ইরান বলছে, কূটনৈতিক টেবিল এক প্রহসন। কারণ আলোচনার সময়েই চালানো হয়েছে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান।
আর এভাবেই আমেরিকা ‘শান্তির মুখোশ’ পরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

এই মুহূর্তে গোটা বিশ্ব এক দোলাচলে দাঁড়িয়ে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে ঠেকাতে গিয়ে এমন এক অগ্নিকুণ্ড জ্বালিয়ে দিয়েছেন, যেখান থেকে সহজে কেউ ফিরতে পারবে না।
যুদ্ধ, প্রতিশোধ, পারমাণবিক ছায়া, অর্থনৈতিক বিপর্যয়—সবই যেন একসাথে ধেয়ে আসছে।

کوئی تبصرہ نہیں ملا


News Card Generator