close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

টোলপ্লাজার কর্মী লাঞ্ছিত: বিএনপি নেতার নামে অভিযোগ, সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল সত্য

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজায় টোল আদায়ে বিলম্ব হওয়ায় এক কর্মচারী লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিনের বিরুদ
চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজায় টোল আদায়ে বিলম্ব হওয়ায় এক কর্মচারী লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেক টোলপ্লাজায় দুপুর দেড়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার বিবরণ প্রত্যক্ষদর্শী এবং সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বাধীন একটি গাড়িবহর সাতকানিয়ার একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে টোলপ্লাজা পার হচ্ছিল। বহরে সাদা ও কালো রঙের কয়েকটি প্রাইভেট কার ছিল। গাড়িগুলো ধীরে ধীরে টোলপ্লাজা অতিক্রম করছিল। এ সময় নাজমুল মোস্তফা আমিনের গাড়ি টোল দিতে এগিয়ে যায়। টোল আদায়ে কিছুটা দেরি হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে সরাসরি টোলপ্লাজার বুথে প্রবেশ করেন। এরপর টোলপ্লাজার কম্পিউটার অপারেটর মোহাম্মদ ইমনকে গালিগালাজ করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। কর্মীদের আতঙ্ক ও যানজট টোলপ্লাজার কর্মীদের দাবি, শুক্রবার যানবাহনের চাপ বেশি থাকার কারণে কিছুটা সময় লাগছিল। এ সামান্য বিলম্বে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি নেতা ইমনকে হেনস্তা করেন এবং বুথে থাকা কম্পিউটারেও আঘাত করেন। এই আচরণের ফলে টোলপ্লাজার কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং তাৎক্ষণিক টোল আদায় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে বাধ্য হন। এতে আরও বড় যানজট সৃষ্টি হয়। বিএনপি নেতার প্রতিক্রিয়া তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাজমুল মোস্তফা আমিন। তিনি বলেন, “সেদিন জুমার নামাজ আদায় করতে না পেরে গাড়ির দীর্ঘ লাইনের কারণে উত্তেজিত মুসল্লিরা ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। আমি উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছি এবং টোলপ্লাজার কর্মীকে কড়া কথা বলেছি। তার গায়ে হাত তুলিনি। টাকাটা দিয়ে ড্রয়ার বন্ধ করে দিয়েছি মাত্র।” সিসিটিভি ফুটেজ বলছে ভিন্ন কথা প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, নাজমুল মোস্তফা আমিন টোলপ্লাজার বুথে প্রবেশ করে অপারেটরের দিকে হাত তোলেন এবং কম্পিউটারে আঘাত করেন। এ ঘটনায় উপস্থিত অন্যান্য কর্মীরা ভীত হয়ে পড়েন। সংশ্লিষ্টদের প্রতিক্রিয়া টোলপ্লাজার এক কর্মকর্তা জানান, “এমন ঘটনা কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আমরা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।” প্রশাসনের পদক্ষেপ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রশাসন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে এবং সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তবে এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ জনগণ টোলপ্লাজার কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
Keine Kommentare gefunden