close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

টিউলিপের দুর্নীতি তদন্তে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থা (এনএসি)। শেখ পরিবারের দুর্নীতির অভিযোগে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শুরু হতে যাচ্ছ..

বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। এসব দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে। এবার তার বিরুদ্ধে তদন্তে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থা (এনএসি)।

বাংলাদেশের আহ্বানে সাড়া যুক্তরাজ্যের

বুধবার (৫ মার্চ) স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশকে সহায়তা করার পরিকল্পনা করছে ব্রিটেন। কীভাবে এই সহায়তা দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনো আলোচনা চলছে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এবং তার বিচার হওয়া উচিত। এই বক্তব্যের পরই তদন্তে সহযোগিতার বিষয়ে আগ্রহ দেখায় ব্রিটিশ তদন্তকারীরা।

৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগ

আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী সহযোগী কেন্দ্র (আইএসিসিসি) এর মাধ্যমে এনএসি বাংলাদেশকে সহায়তা করবে। জানা গেছে, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে অবকাঠামোগত ব্যয়ে প্রায় ৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সেই অর্থের একটি বড় অংশ যুক্তরাজ্যে পাচার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত বছর ব্রিটিশ কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সফর করেন। সেই সময় শেখ হাসিনা, টিউলিপ সিদ্দিক এবং ঘনিষ্ঠদের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়। তবে এনএসি বলেছে, তারা স্বতন্ত্রভাবে টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে না বরং বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য কাজ করছে।

রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে টিউলিপ?

টিউলিপ সিদ্দিকের মুখপাত্র অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আনীত কোনো অভিযোগ সত্য নয়। উপহারের ফ্ল্যাটের তথ্য গোপন করার ঘটনাটি 'তথ্যগত ভুল' বলেই দাবি করেছেন তিনি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, ব্রিটিশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করলে টিউলিপের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারে।

বিশ্ব রাজনীতিতে এই দুর্নীতির ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে। এখন দেখার বিষয়, যুক্তরাজ্যের তদন্তের ফলে শেখ পরিবারের দুর্নীতির পর্দা কতটা উন্মোচিত হয়।

Geen reacties gevonden