২০২৪ টি ২০ বিশ্বকাপের পরেই টি-টোয়েন্টি থেকে অধিনায়কের দায়িত্ব ছেড় দেন তিনি। তবে এখনো টেস্ট ও ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে দেখা যাচ্ছে তাকে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন শান্ত। টেস্ট সিরিজের লক্ষ্যের পাশাপাশি জানিয়েছেন টি-টোয়েন্টির ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার কারণও।
শান্ত বলেন, আমি নিজে থেকেই ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়েছিলাম টি-টোয়েন্টিতে আর ক্যাপ্টেন্সি করতে চাই না। কারণ নিজের ব্যাটিংয়ে সময় দিতে চাচ্ছিলাম। এখন এত খেলা হচ্ছে, নিজেকে সময় দেওয়া কঠিন হচ্ছিল। বিশেষ করে নিজের ব্যাটিং। এজন্যই বোর্ডকে অনুরোধ করেছিলাম। যাতে ব্যাটিংয়ে বেশি মনোযোগ দিতে পারি। সামনে সুযোগ এলে ইনশাআল্লাহ আরও ভালোভাবে অবদান রাখতে পারব।'
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক অধিনায়ক লম্বা সময় পেলে খুবই ভালো। আমাকেও এক-দেড় বছর হলো দেওয়া হয়েছে। যে- থাকুক, লম্বা সময় যদি দেওয়া হয়, একটা বিশ্বকাপ চিন্তা করে বা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সার্কেল চিন্তা করে, তাহলে প্ল্যান করা খুবই সহজ। আমার সাথে বোর্ডের যতটুকু আলোচনা হয়েছে, আমি খুশি। যেভাবে তাদের সময় দিয়েছেন, পরিকল্পনা দিয়েছেন। আমার জন্য পরিকল্পনা করা সহজ হয়ে গেছে।'
ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব আরো লম্বা সময় থাকার আশ্বাস শান্তর। লম্বা সময় অধিনায়কত্ব পাওয়াতে দল নিয়ে ভাবতে সুবিধা হবে বলেও জানান তিনি, 'আমার সাথে বোর্ডের যতটুকু কথা হয়েছে, তাদেরও চিন্তাভাবনা এরকমই। লম্বা সময় পেলে ক্যাপ্টেন ভাবতে পারে কোন কন্ডিশনে কোন খেলোয়াড় খেলাবে। অনেক সময় ব্যাটিং পজিশন নিয়ে অনেক কথা বলি। ঐ জিনিসগুলো ঠিক করা ক্যাপ্টেনের জন্য সহজ হয়। ইতোমধ্যে টেস্টে একটা সুন্দর শুরু হয়েছে। আশা করব ওয়ানডেতেও এমন কোনো প্ল্যান করবে।
গত বছরের শেষের দিকে শান্তর অবর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লিটন দাস। তার নেতৃত্বে সেই টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। এরপর পাকিস্তান সিরিজের আগে তাকেই স্থায়ীভাবে টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।