close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

থানায় অভিযোগ করায় প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিককে পেটালেন ডাক্তার ..

Shazzadul Alam Khan  avatar   
Shazzadul Alam Khan
ময়মনসিংহে থানায় অপচিকিৎসার অভিযোগ করায় এক সাংবাদিককে প্রেসক্লাবের ভেতরে ফেলে পিটিয়েছে এক চিকিৎসক ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক কানে কম শুনছেন বলে জানিয়েছেন কর্..

শুক্রবার (২১ মার্চ) পর্যন্ত ওই সাংবাদিক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগে ভর্তি আছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন সাংবাদিক। আহত সাংবাদিক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া খালপাড় এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় দৈনিক ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস পত্রিকার জ্যেষ্ট প্রতিবেদক ও দৈনিক রুপালী বাংলাদেশ পত্রিকার ময়মনসিংহের নিজস্ব প্রতিবেদক। ওই সাংবাদিকের ভাষ্য, তার বাবা মোসলেম উদ্দিনের (৭০) সাত থেকে ৮ দিন ধরে দাঁত ব্যথা করছিল। পরে দাঁত তোলার জন্য হাসপাতালে আনার অনেক চেষ্টা করেও আনা যায়নি। কোনো মতেই তিনি হাসপাতালে যাবেন বলে বায়না ধরেন। পরে গত ১২ মার্চ বিকেলে নগরীর শম্ভুগঞ্জ পশ্চিম বাজার এলাকার এ্যাডভান্সড ডেন্টাল সলোশন নামক একটি দন্ত চিকিৎসালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই সিমু আক্তার নামে এক ভুয়া চিকিৎসক নাড়াচাড়া করা দাঁত না ফেলে ভালো দাঁত ফেলে কিছু ওষুধ লিখে দেয়। এগুলো নিয়ে মোসলেম বাড়িতে ফিরে আরও বেশি দাঁতের ব্যথায় ভুগতে শুরু করেন। ওষুধ খেয়েও কোনো কাজ হচ্ছিল না। পরে রাত ১১টার দিকে বুঝতে পারেন তার নাড়াচাড়া করা দাঁত না ফেলে ভালো দাঁত ফেলে দিয়েছেন চিকিৎসক। 

পরদিন ১৩ মার্চ বিকেলে শম্ভুগঞ্জ বাজার মোড়ের গোল চত্ত্বর এলাকার রিচ হেলথ সেন্টার নামক দন্ত চিকিৎসালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম নিজেও কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই মোসলেম উদ্দিনকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় বসিয়েই দাঁত ফেলে দিয়ে ওষুধ লিখে দেন। কিন্তু তার ওষুধ খেয়েও দাঁতের ব্যথা কমেনি। এভাবেই তিনি ৩ থেকে ৪ দিন দাঁতের ব্যথায় ভোগেন। এমন অপচিকিৎসার বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে উল্টো সংবাদকর্মীকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেন। এ ঘটনায় গত বুধবার (১৮ মার্চ) বেলা আড়াইটার সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় ভুয়া চিকিৎসক শিমু আক্তার ও ডা. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। 

 

সারাদেশ ময়মনসিংহ থানায় অভিযোগ করায় প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিককে পেটালেন ডাক্তার dhaka-post নিজস্ব প্রতিবেদক ময়মনসিংহ ২১ মার্চ ২০২৫, ১৯:০৫ থানায় অভিযোগ করায় প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিককে পেটালেন ডাক্তার সাংবাদিক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ময়মনসিংহে থানায় অপচিকিৎসার অভিযোগ করায় এক সাংবাদিককে প্রেসক্লাবের ভেতরে ফেলে পিটিয়েছে এক চিকিৎসক ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক কানে কম শুনছেন বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বিজ্ঞাপন শুক্রবার (২১ মার্চ) পর্যন্ত ওই সাংবাদিক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগে ভর্তি আছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন সাংবাদিক। আহত সাংবাদিক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া খালপাড় এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় দৈনিক ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস পত্রিকার জ্যেষ্ট প্রতিবেদক ও দৈনিক রুপালী বাংলাদেশ পত্রিকার ময়মনসিংহের নিজস্ব প্রতিবেদক। ওই সাংবাদিকের ভাষ্য, তার বাবা মোসলেম উদ্দিনের (৭০) সাত থেকে ৮ দিন ধরে দাঁত ব্যথা করছিল। পরে দাঁত তোলার জন্য হাসপাতালে আনার অনেক চেষ্টা করেও আনা যায়নি। কোনো মতেই তিনি হাসপাতালে যাবেন বলে বায়না ধরেন। পরে গত ১২ মার্চ বিকেলে নগরীর শম্ভুগঞ্জ পশ্চিম বাজার এলাকার এ্যাডভান্সড ডেন্টাল সলোশন নামক একটি দন্ত চিকিৎসালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই সিমু আক্তার নামে এক ভুয়া চিকিৎসক নাড়াচাড়া করা দাঁত না ফেলে ভালো দাঁত ফেলে কিছু ওষুধ লিখে দেয়। এগুলো নিয়ে মোসলেম বাড়িতে ফিরে আরও বেশি দাঁতের ব্যথায় ভুগতে শুরু করেন। ওষুধ খেয়েও কোনো কাজ হচ্ছিল না। পরে রাত ১১টার দিকে বুঝতে পারেন তার নাড়াচাড়া করা দাঁত না ফেলে ভালো দাঁত ফেলে দিয়েছেন চিকিৎসক। বিজ্ঞাপন পরদিন ১৩ মার্চ বিকেলে শম্ভুগঞ্জ বাজার মোড়ের গোল চত্ত্বর এলাকার রিচ হেলথ সেন্টার নামক দন্ত চিকিৎসালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম নিজেও কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই মোসলেম উদ্দিনকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় বসিয়েই দাঁত ফেলে দিয়ে ওষুধ লিখে দেন। কিন্তু তার ওষুধ খেয়েও দাঁতের ব্যথা কমেনি। এভাবেই তিনি ৩ থেকে ৪ দিন দাঁতের ব্যথায় ভোগেন। এমন অপচিকিৎসার বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে উল্টো সংবাদকর্মীকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেন। এ ঘটনায় গত বুধবার (১৮ মার্চ) বেলা আড়াইটার সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় ভুয়া চিকিৎসক শিমু আক্তার ও ডা. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। বিজ্ঞাপন এদিকে, সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম শম্ভুগঞ্জ প্রেসক্লাবে সভাপতির কক্ষে প্রবেশ করার সাথে সাথে ডা. আমিনুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সভাপতির সামনেই মাথায় বেধরক কিল-ঘুষি দেওয়া শুরু করে। মঞ্জুরুল নিজেকে রক্ষা করার জন্য দুই হাত দিয়ে মাথা ঢেকে রাখেন। তারপরও সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করতে থাকেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ বিষয়ে জানতে রীচ হেলথ সেন্টারের চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম ও এ্যাডভান্সড ডেন্টাল সলোশনের শিমুর নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে শ্ভুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, চিকিৎসক আনোয়ার আমার ক্লাবের সদস্য। সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলামকে আমিই চা পানের দাওয়াত দিয়েছিলাম। পরে আমার রুমেই চিকিৎসক আনোয়ার তার লোকজন নিয়ে সাংবাদিককে মারধর করেন। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানতে পারছি। এ বিষয়ে জানতে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান বলেন, মারধরের পর ওই সাংবাদিক নিজেই ফোন করে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ অথবা কাল তিনি অভিযোগ করবেন। অভিযোগ করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

コメントがありません