থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে বরখাস্তের রায় দিয়েছে। সাবেক কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের অডিও ফাঁস হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। আদালতের ৭-২ ভোটে এই রায় কার্যকর হয়।
ফোনালাপে পায়েতংতার্ন হুন সেনকে ‘আঙ্কেল’ সম্বোধন করেছেন এবং থাই সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ কর্মকর্তার কঠোর সমালোচনা করেন, যা দেশীয় জাতীয়তাবাদী ও রক্ষণশীল মহলকে চরমভাবে ক্ষুব্ধ করে তোলে। এই ঘটনার ফলে পদত্যাগের দাবি উত্থাপন হয়, যার কারণে আদালত তাকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেয়।
পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা ফিউ-থাই পার্টির নেতৃত্বাধীন একটি জোট সরকার পরিচালনা করছিলেন, যা পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছিল। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে একটি প্রভাবশালী রক্ষণশীল শরিক দল এই জোট থেকে সরে দাঁড়ায়, যা তার সরকারের অবস্থান দুর্বল করে তোলে।
পায়েতংতার্ন হবেন সিনাওয়াত্রা পরিবারের তৃতীয় রাজনীতিক যিনি মেয়াদ পূরণের আগেই ক্ষমতা হারাচ্ছেন। তার বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা এবং চাচী ইংলাক সিনাওয়াত্রাও আগে সামরিক হস্তক্ষেপে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আদালত তাকে ১৫ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে উপ-প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুনগ্রুনগ্রুয়াংকিত ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ঘটনার মাধ্যমে থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এক দফা আরও উত্তপ্ত এবং অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। আগামী দিনগুলোতে দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যত কতটা স্থির হবে, তা এখন অপেক্ষার বিষয়।