সালটা ২০১৮- কাকার সাথে নির্বাচন দেখতে গিয়েছিলাম , তখন এতো ভালো ভাবে বুঝিনি নির্বাচন কি । নির্বাচনের কেন্দ্রে গিয়ে দেখি কাকার ভোট নাকি কে দিয়ে দিয়েছে । তখন কাকা চলে এসেছে বাড়িতে । নির্বাচন এদিন শেষ হলো , ধানের শীষ ওই কেন্দ্রে ভোট পেয়েছিল মাত্র পাঁচটি । নির্বাচনের ঠিক পরে দিন আমাদের বাজারের যত ব্যবসা বাণিজ্য রয়েছে সবগুলো ঘরে তালা দেয়া হয়েছিল । কারণ কাকা নির্বাচনের কেন্দ্রে গিয়েছিল । এ যাওয়া কিছু লোক দেখেছিলেন । বিএনপি যে পাঁচটি ভোট পেয়েছিল এ পাঁচটি ভোট নাকি আমাদের বাড়ির মানুষে দিয়েছিল এই কারণে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ঘরগুলোতে তালা দেয়া হয়েছিল বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য দেওয়া হয় নাই। পরবর্তী সময়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকার মতো ও ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচার এর দালালরা দাবি করে যদি এই টাকা দেওয়া হয় তাহলে আমাদের ঘরগুলো থেকে তালা খুলে দিবে । আর সেই সময়টাই গুয়ালের গরু গুলো বিক্রি করে তাদেরকে আমরা সেই টাকা দেই , আমার এখনো মনে আছে .যে যখন আব্বা গরুগুলো নিয়ে বাজারে যাচ্ছিল তখন আমিও সাথে গিয়েছিলাম রাস্তায় রাস্তায় চোখ দিয়ে পানি পড়েছিল আব্বার । ছোট ছিলাম কম বুঝতাম , আমারও সেদিন কান্না পাচ্ছিল গোয়ালের একটা গরু ছিল এই গরুটা আমার খুব প্রিয় ছিল । অথচ আমাদের কোন রাজনৈতিক বড় পদ ছিল না , আমার বাপ চাচারা কেউ বড় রাজনীতিবিদ ছিলেন না তারা কেউ কোন রাজনৈতিক নেতার সাথে হাঁটেন নাই এমনকি কেউ রাজপথে নামেন নাই । আমরা শুধু নামে বিএনপি ছিলাম এবং কারো কোন ক্ষতি করেন নাই এবং কোন রাজনৈতিক পদ পদবী নিয়ে বিএনপি করেন নাই ।
তখন তাদেরকে এই এই গরু বিক্রি করে তাদেরকে দেওয়া হয় । এই রকম ভাবে আরো আগেও করেছে তখন আর আমি দেখি নাই । যখন থেকে দেখিছি তখন এর কথা গুলো বলতেছি । তার পর থেকে আমাদের উপর শুধু মামলা চারা যত মানসিক নির্যাতন আছে সব দেওয়া হয় যদি কোন মামলা করার মতো ইসু পাইতো তাহলে তাও করতো । তারা যা বলতো তাই করতে হতো একপ্রকার তাদের গুলামি করতে হয়েছে । কিন্তু কোন দিন আমার বাপ চাচারা মুখ ফুটে কিছু বলে নাই । আমি আব্বারে একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম । আব্বা তারেক রহমান কবে আসবে আব্বা বলছিল আসবে খুব তারাতারি কিন্তু হঠাৎ এই কথা কেন আমি বলছিলাম যদি আসে তাহলে তো আর আমাদের অন্যের কথা মতো চলতে হবেনা আব্বা এক প্রকার আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। আব্বা হয়তো ভাবছিলেন যে আমার কষ্ট হচ্ছে আর সন্তানের কষ্ট বাবা মায়ের কষ্ট আরো দ্বিগুণ করিয়ে দেয় তা তো সবাই জানেন আর সেই সালে ফসল অনেক খারাপ হয় আমদেরো তখন একটা বিরাট অভাবের মুখে পরতে হয় আর সেই সালে থেকে সংসার অগোছালো হয়ে পরে আর যা আজো অগোছালো । এই রকম ভাবে কেটে যাই ছয় বছর আরো অনেক কিছু হয়েছে আমি মনে করতে পারতেছি না ছয় বছর পর ২০২৪ সাল আবার নির্বাচন আর এই নির্বাচন তো আমার সমবয়সী সবাই ভালো করে জানেন। কান তখন খুভ ভালো করে বোঝি , আর এই বছরেও আমাদের এমন ভাবে লাঞ্চিত করেছে যা ভুলবার মতো নয় । আজ আমরা ঠিকি বেঁচে আছি এলাকায় আছি , কিন্তু যারা এমন ছিল তারা নেই দেশে নেই এলাকায় নেই । ঐ তারেক রহমান আজ আসছেন বীরের মতো আসছেন। আব্বা আজ আমারে বলতাছে বাবা তর তারেক রহমান তো আইছে । আমার আব্বার এই কথাটাতে কেন জানি মনে হলে আসলেই তারেক রহমান আমার । শুধু আমার না সারা বাংলাদেশে এই রকম হাজার হাজার লাখ লাখ মানুষ এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে কেউ কেউ পৃথিবী চেয়েছে এই সবার তারেক রহমান আজ আসছেন । বাবার এই কথাটাই অনেকটা আনন্দ স্বস্তি দেখছি পেয়েছি যা বিগত পাঁচ ছয় বছর আমি দেখি নাই এমন ভাবে আব্বারে হাসতে দেখি নাই । আজ বাংলাদেশ জিতে গেছে হেরে গেছে ভারতীয় অপশক্তির ঐ ধূসররা যারা ঐ দেশের দালালি করে মানুষ কে এতো নির্যাতন করেছে । আজ কথা গুলো বলতে হয়েছে কার খুব মন চাইতাছে কথা গুলো বলতে জমা রাখতে আর পারতেছি না তাই বললাম আরো অনেক কথা বলতে পারি নাই আমি গুছিয়েও বলতে পারি নাই সবাই একটু কষ্ট করে বোঝে নিবেন । তারেক রহমান কে বাংলাদেশে সুস্বাগতম। এ দেশের মানুষের সকল শুক দুঃখের সাথী হবেন তিনি আশা করি ।
ইতি
মোঃ রাফি উল হাসান সিয়াম !
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।



















