দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনা মানুষের ঘাড়ের উপর জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছিল। হাসিনার আমলে মানুষের কোন বাক স্বাধীনতা ছিল না।
জনগণের বাকস্বাধীনতা হরণ করে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। হাসিনার আমলে মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। মানুষকে দীর্ঘদিন ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হাসিনা বার বার ভোটারের ভোটাধিকার হরণ করেছে।
গতকাল শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে মিরপুর উপজেলাধীন তালবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলনে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন- ভারতের সহযোগিতা নিয়ে মানুষকে ধোকা দিয়ে হাসিনা বার বার সরকার গঠন করেছে। পরিশেষে ভূলের পর ভূল করে হাসিনার পতন হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে দেশে নির্বাচিত কোন সরকার নেই। তাই বর্তমান সরকারকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দেয়ার তিনি উদ্বাত্ত আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পরিকল্পিতভাবে ২০০৮ সালে কারচুপির মাধ্যমে নীল নক্সার নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছিল। ২০১৪ সালে বিনা ভোটে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে তার পিতার পথ ধরে বাকশাল কায়েম করেছিলেন।
ছাত্র-জনতাসহ বিএনপি’র হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে প্রশাসন দিয়ে গুম করেছে হাসিনা। হাসিনার আমলে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। এসবের জন্য স্বৈরাচার হাসিনার বাংলার মাটিতে বিচার হতে হবে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মিরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আশরাফুজ্জামান শাহীন। এসময় উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি’র হাজারো নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন শেষে খলিলুর রহমান জোয়ার্দ্দারকে সভাপতি, মতিউর রহমান মুসাকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাইফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক, ওহাব মেম্বারকে সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তৌহিদুল ইসলাম শহীদকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট তালবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়।