close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় নির্বাচন কমিশন, কিন্তু প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাজনৈতিক দল ছাড়া আমরা সুষ্ঠু ভোট করতে পারব না। বিভিন্ন অংশীজনের সাথে আমাদের আলাপ করতে হবে।..

সংক্ষেপে মূল বিষয়:

  • প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় ডিসেম্বরের সম্ভাবনা
  • ইসির প্রস্তুতি চলছে, কিন্তু সরকারের কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা নেই
  • নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য বিএনপির চাপ
  • সেনাবাহিনীর পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস
  • আইনি জটিলতায় আসন সীমানা পুনর্নির্ধারণ আটকে
  • জেলা প্রশাসকদের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে কড়া বার্তা

বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো অনিশ্চিত। সরকার এখনো নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়নি। তবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পূর্বঘোষিত বক্তব্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের সম্ভাব্য ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে জানান, "ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে হলে আমাদের অক্টোবরের মধ্যেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি, তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি।"

গত বছর বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর ২০২৪ অথবা জুন ২০২৫-এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেনাবাহিনী প্রধানও একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এখনো নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানানো হয়নি।

বিএনপি দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য কমিশনের ওপর চাপ দিচ্ছে। তবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। অনেক দল এখনো নির্বাচনের সময়কাল এবং প্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিধান্বিত। এই মতবিরোধের মধ্যেই ইসি নিজের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে।

নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটা, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, এবং দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে আসন সীমানা পুননির্ধারণ আইনি জটিলতার কারণে থমকে আছে। সিইসি জানান, "আমরা আইনি সংশোধনের অপেক্ষায় আছি। যতক্ষণ না এটি সম্পন্ন হচ্ছে, ততক্ষণ সীমানা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।"

প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, আসন্ন নির্বাচনে সেনাবাহিনী পূর্ণ সহযোগিতা করবে। রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন সংলাপের পরিকল্পনাও করছে।

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, "রাজনৈতিক দল ছাড়া আমরা সুষ্ঠু ভোট করতে পারব না। তাই তাদের সাথে সংলাপ করতেই হবে। এছাড়া, কোনো জেলা প্রশাসক যদি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেন, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকা নির্বাচন কমিশন পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা আসেনি। পরিস্থিতি যে কোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। সবার নজর এখন সরকারের আনুষ্ঠানিক নির্দেশনার দিকে।


বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা এখনো কাটেনি। নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের হাতে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতানৈক্য, আইনি জটিলতা এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জের মধ্যেই এগিয়ে যেতে হবে কমিশনকে। ডিসেম্বরেই কি হবে ভোট? নাকি আরও সময় লাগবে? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

לא נמצאו הערות