close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

সন্তানদের ভরনপোষণ ও ঋনের টাকা নিয়ে বিপাকে দিনযাপন করছে গৃহবধূ সাথী।..

ShahidulIslamkhokan avatar   
ShahidulIslamkhokan
****

সন্তানদের ভরনপোষণ ও ঋনের চিন্তায়
অসহায় গৃহবধূ সাথীর দিনযাপন।

 

শহিদুল ইসলাম খোকন : চাঁদপুরের মতলব উত্তরে সন্তানদের ভরনপোষণ আর ঋনের রোজা মাথায় নিয়ে বিপাকে দিনযাপন করছে সাথী। সে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের উত্তর ইমামপুর গ্রামের  আসাদ প্রধানের মেয়ে।

 জানা যায়, সাথী আক্তারের সাথে একই গ্রামের আব্দুর রহমান প্রধানের ছেলে রানা প্রধানের সাথে ২০১২ সালের জুন মাসের ৬ তারিখে ইসলামিয়া শরীয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহের পর কয়েক বছর দাম্পত্য জীবন ভালোই চলে। ২০১৪ সালে তাদের জমজ সন্তান হয়। তাদের নাম ফাহমিদা ও ফাহাদ। বর্তমানে তাদের বয়স ১১ বছর। 
জমজ সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খায় রানা।  তখন সাথীর স্বামী, শশুর, শাশুরী, দেবর, ঝাঁ এবং ভাসুর কন্যাসহ সবাই সাথীর সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকে। পরে দফায় দফায় লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা দেয়। তারপরও সেখানে সাথী ভালো ভাবে বসবসা করতে না পারায় সাথীর বাবা আসাদ প্রধান সাথীর নামে নিজ বাড়ি লিখে দেয়। পরে সাথী তার স্বামী ও সন্তান নিয়ে এখানে বসবাস করে রানা বিদেশে চলে যায়। ছুটিতে এসে  ঐ যায়গায় সু কৌশলে  রানা প্রধান তার নামে লিখে নেয় এবং  দালান তৈরি করে। দালান তৈরি করতে সাথীর বাবার কাছ থেকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা হাওলাদ নেয় এবং এনজিও থেকে ২২ লাখ টাকা ঋন করে রানা বিদেশে চলে যায়। সেখানে গিয়ে রানা স্ত্রী সন্তানের ভরনপোষণ না দিয়ে সাথীর ভাবী রাজিয়াকে বিয়ে ফেলে। এখন সন্তানদের ভরনপোষণ ও লেখাপড়ার খরচ ও ঋনের টাকা পরিশোধ করতে  না পারায় খুবই সমস্যায় দিন যাপন করছে।
এ পতিকার পাওয়ার জন্য স্থানীয়ভাবে কয়েকবার মিমাংসার জন্য বসলে রানার বাবা-মা বিষয়টি এড়িয়ে চলে। কোন প্রতিকার না পেয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 
তবে অভিযোগের পরিপেক্ষিতে কোন পুলিশ কোন ব্যাবস্থা না পেয়ে হতাশ সাথী  আক্তার ও তার পরিবার।
এ বিষয়ে সাথী বলেন, আমি থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছি। কিন্তু পুলিশ কেন ব্যাবস্থা নেয়নি। 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাথী আক্তার বলেন, একদিকে সন্তানদের ভরনপোষণ আর অন্যদিকে ঋনের ভোজা মাথায় নিয়ে বিপাকে আছি।  কোথায়ও বিচার না পেয়ে আমি হতাশ। আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না আমার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রানা প্রধানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে মোবাইল ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। 
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.রবিউল হক বলেন,   নারীর ভরনপোষণ না দিলে সেটি নারী শিশু পারিবারিক আইনে কোর্টে মামলা করতে হবে।


 

 

没有找到评论