সংবাদ প্রকাশের জেরে দুই সাংবাদিকের নামে দায়ের করা হয়রানিমূলক ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে দৌলতপুর প্রেসক্লাব।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
জানা গেছে, গত ১২ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান আনিছের বিরুদ্ধে দোকান ভাঙচুর, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় জাতীয় দৈনিক আমার বার্তা, ইনকিলাব ও স্থানীয় পত্রিকা আমার নিউজ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ক্ষুব্ধ হয়ে আনিছুর রহমান আনিছ ওই দুই সাংবাদিকের নামে মানহানিকর মামলা দায়ের করেন।
তিনি দৌলতপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও আমার বার্তা পত্রিকার প্রতিনিধি মো. শাহ আলম এবং ইনকিলাব পত্রিকার প্রতিনিধি মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে দৌলতপুর আমলী আদালতে (সি.আর মামলা নং ২৫৬/দৌলতপুর/১/২০২৫) এ মামলা দায়ের করেন।
প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মামুন মিয়া পলাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক মো. সালমান খান, সহ-সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, ক্রীড়া সম্পাদক মিজানুর রহমান মিন্টু, দপ্তর সম্পাদক জহিরুল আহমেদ, সদস্য আমিনুর রহমান সোয়াদসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক — তারা নিরপেক্ষভাবে সত্য তুলে ধরেন। তাদের ভয় দেখাতে বা চুপ করিয়ে দিতে মিথ্যা মামলা দায়ের করা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পরিপন্থী।
সাবেক সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, “আনিছের নানা অপকর্মের বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে আমরা নিউজ করেছি। কিন্তু সত্য প্রকাশ করায় আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে — এটা অন্যায় ও হয়রানিমূলক।”
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. সালমান খান বলেন, “যেখানে অপরাধ, সেখানেই সাংবাদিক উপস্থিত থাকবে — এটা তার দায়িত্ব। এই মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার না হলে দৌলতপুর প্রেসক্লাব কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।”
সভাপতি মামুন মিয়া পলাশ বলেন, “প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।”
সচেতন মহলও এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিকদের হয়রানি করে সত্য গোপন করা যায় না; বরং এতে প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয়।



















