close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

স্কুলছাত্র-পর্যটক-রিসোর্টে মাদক সরবরাহকারী আটক

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
কক্সবাজারে স্কুলছাত্র ও পর্যটকদের হাতে ইয়াবা-মদ-নারী পৌঁছে দিত এক ব্যক্তি। বিজিবির অভিযানে ধরা পড়ল ভয়াবহ সিন্ডিকেটের সদস্য জসিম উদ্দিন।..

কক্সবাজারে ইয়াবা, মদ ও নারী সরবরাহে জড়িত ভয়াল এক চক্রের সন্ধান মিলেছে, যার মূল এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিল মো. জসিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। যদিও মাত্র ৮ পিস ইয়াবাসহ তাকে ধরা হয়, কিন্তু তদন্তে উঠে এসেছে এক রোমহর্ষক চিত্র। স্কুলছাত্র থেকে শুরু করে উঠতি বয়সী কিশোর ও পর্যটকদের হাতে মাদক পৌঁছে দিত এই ব্যক্তি, এমনকি হিমছড়ি ও আশপাশের রিসোর্টগুলোকেও পরিণত করেছিল অপরাধের আখড়ায়।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে মরিচ্যা থেকে কক্সবাজারগামী একটি অটোরিকশায় বিজিবির সদস্যরা তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে উদ্ধার করেন ৮ পিস বার্মিজ ইয়াবা। গ্রেফতার হন রামুর রাবেতা এলাকার মাংলা পাড়ার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন (৪২), পিতা এজাহার মিয়া।

তবে এখানেই শেষ নয়। কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম খায়রুল আলম জানিয়েছেন, এই আটকের পর তদন্তে বেরিয়ে আসে ভয়াবহ চিত্র—জসিম শুধুমাত্র একা নয়, বরং হিমছড়ির বেশ কিছু কটেজ ও রিসোর্টে নারী ও মাদক সরবরাহে জড়িত একটি সক্রিয় সিন্ডিকেটের সদস্য। শুধু পর্যটক নয়, স্থানীয় উঠতি বয়সী স্কুলছাত্ররাও ছিল তার লক্ষ্যবস্তু।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে জসিম এ ধরনের অপরাধ চালিয়ে এলেও তাকে রক্ষা করত একটি প্রভাবশালী মহল। সেই চক্রের ছত্রছায়ায় এতদিন সে আইনের বাইরে থাকলেও, অবশেষে বিজিবির তৎপরতায় ধরা পড়ে এই ভয়াল মাদকচক্রের কুশীলব।

এলাকাবাসীরা জানায়, অনেক সময় তাকে রিসোর্ট বা কটেজ এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যেত। পর্যটকদের সঙ্গে রাতভর পার্টি, অশ্লীলতা, মদ-ইয়াবার সরবরাহের একক মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছিল সে। এই চক্র কক্সবাজারকে একটি অনৈতিক ও বিপজ্জনক পর্যটনস্থলে পরিণত করছিল।

বিজিবির সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার জসিমের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন চলছে তার বিরুদ্ধে আরও তথ্য সংগ্রহ এবং সম্ভাব্য সহযোগীদের খোঁজে অভিযান।

এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, ইয়াবা পাচার শুধু সীমান্তপথে নয়—এটি এখন ছড়িয়ে পড়েছে পর্যটননির্ভর এলাকাগুলোতেও। আর এই অপরাধের মূল ভুক্তভোগী হচ্ছে কিশোর-তরুণরা।

কক্সবাজারের মতো স্পর্শকাতর এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তা, তরুণ প্রজন্মকে মাদক থেকে রক্ষা এবং অপরাধচক্র নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ প্রয়োজন। জসিমের মতো ব্যক্তিরা ধরা পড়ছে, কিন্তু এর পেছনে থাকা মূল হোতারা এখনো অধরা। তাই কেবল গ্রেফতার নয়, গোড়া থেকে নির্মূলই হওয়া উচিত এই ভয়াল চক্রের।

لم يتم العثور على تعليقات