close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ৮ কারখানায় ছুটি ঘোষণা!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গাজীপুরে বেতন পরিশোধ না করার অভিযোগে শ্রমিকদের বিক্ষোভ তীব্র রূপ নেয়। তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করলে, পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৮টি কারখান..

গাজীপুরে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ না করার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল পৌনে ১০টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোগড়া এলাকায় অবস্থিত মীম আলেমা ডিজাইন গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে ফেলে, যার ফলে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ

স্থানীয় পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, শ্রমিকরা ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। প্রথমে তারা কারখানার ভেতরেই অবস্থান নেয়, কিন্তু পরে সেখান থেকে বের হয়ে প্রধান মহাসড়কে নেমে আসে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আশপাশের বেশ কয়েকটি কারখানায় ঢিল ছোড়া ও ভাঙচুরের চেষ্টা চালায় এবং অন্যান্য শ্রমিকদেরও বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। প্রায় ২০ মিনিটের চেষ্টায় তারা শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে সক্ষম হয় এবং যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়।

কারখানা বন্ধের ঘোষণা

শ্রমিক অসন্তোষের জেরে এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ৮টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শ্রমিকদের শান্ত রাখতে এবং নতুন করে কোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

পুলিশের বক্তব্য

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২ এর পুলিশ সুপার একে এম জহিরুল ইসলাম জানান,

"শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছিল। পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। প্রায় ২০ মিনিট মহাসড়ক বন্ধ ছিল, তবে বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।"

পরবর্তী পদক্ষেপ

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিকদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার চেষ্টা চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অস্থিরতা না ঘটে।


 কেন এই ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ?

 গাজীপুর বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শিল্পাঞ্চল, যেখানে হাজারো শ্রমিক কাজ করেন।
 শ্রমিক অসন্তোষ ও বকেয়া বেতন নিয়ে জটিলতা শিল্প খাতে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে
 সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ এবং কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত বড় ধরনের অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে।

Hiçbir yorum bulunamadı