close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

সিরিয়ায় গণকবর: আসাদের রাষ্ট্রীয় ‘মৃত্যুর যন্ত্র’ উন্মোচিত, খুঁজে পাওয়া গেল হাজারো অজ্ঞাত মৃতদেহ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সিরিয়ার গণকবর: আসাদের অমানবিক হত্যাকাণ্ডের বিভীষিকা সিরিয়ার ভেতরের এক অন্ধকার অধ্যায় এখন উন্মোচিত হচ্ছে, যেখানে প্রকাশ পেয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদে
সিরিয়ার গণকবর: আসাদের অমানবিক হত্যাকাণ্ডের বিভীষিকা সিরিয়ার ভেতরের এক অন্ধকার অধ্যায় এখন উন্মোচিত হচ্ছে, যেখানে প্রকাশ পেয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের অধীনে হাজারো নিরপরাধ মানুষের মৃত্যুর ভয়াবহ চিত্র। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আসাদের শাসনকে একাধিকবার মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করা হলেও, গত কিছুদিনে নতুন করে উন্মোচিত হয়েছে সেই অমানবিক হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ দিক—গণকবর। একটি স্বাধীন তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য গণকবর পাওয়া গেছে, যেখানে উদ্ধার করা হয়েছে হাজার হাজার অজ্ঞাত মৃতদেহ। এসব কবরের মধ্যে অনেকেই সেই সমস্ত ব্যক্তিরা, যারা রাষ্ট্রীয় নির্যাতন এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে হত্যার শিকার হয়েছেন। কবরগুলোতে মিলেছে নৃশংসভাবে খুন হওয়া মানুষের দেহাবশেষ, যাদের মাথায় গুলি করা হয়েছিল, অথবা যাদের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন স্পষ্ট। এই গণকবরগুলো সিরিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে আরও বেশি আতঙ্কজনক হয়ে উঠেছে। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে সরকারী বাহিনীর অবৈধ কার্যকলাপ এবং বাশার আল-আসাদের শাসনের বিরুদ্ধে চলা প্রতিবাদীদের নির্মূল করার উদ্দেশ্য ছিল। সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলেও, সবচেয়ে বড় সংখ্যক গণকবর পাওয়া গেছে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আল-রাকা, হামা এবং দের আ-জোরে। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, এক মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তা বলেন, “এটা শুধুমাত্র হত্যাকাণ্ড নয়, বরং এক ধরনের রাষ্ট্রীয় হত্যাযজ্ঞ। এসব মৃতদেহকে গণকবরে ফেলা হয়েছে যেন তাদের অস্তিত্বকে মুছে ফেলা যায়।” তিনি আরও বলেন, “আসাদ সরকারের এমন কার্যকলাপের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল বিরোধী দলের মানুষের মৃ death ুদেহের মাধ্যমে তার শক্তি প্রদর্শন করা।” এদিকে, জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলি এই ঘটনাগুলির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সিরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই ধরনটি আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে এবং এর ফলে দেশটির জনগণের ওপর চরম নৃশংসতার প্রকাশ ঘটেছে। বিশ্বব্যাপী এই ঘটনাগুলি নিয়ে প্রবল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলেও, সিরিয়ার সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে এবং গৃহযুদ্ধের সঙ্কটের জন্য অন্যদের দায়ী করছে। তবে, একাধিক আন্তর্জাতিক রিপোর্ট এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়, আসাদ শাসনের আওতায় সাধারণ মানুষ যে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, তা এখন আর অস্বীকার করা সম্ভব নয়। বিশ্বব্যাপী এই গণকবরের ঘটনা সিরিয়ায় সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের এক নতুন স্তরকে তুলে ধরছে। মানবাধিকার কর্মীরা এখন বিশ্বনেতাদের কাছে সিরিয়ার জনগণের উপর আসাদ সরকারের নৃশংস আক্রমণ বন্ধের দাবি তুলছেন এবং আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার দাবি করছেন।
コメントがありません