সিরাজগঞ্জে সরকার স্বীকৃত ঔষধ ব্যবসায়ীদের একমাত্র জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে ঔষধ ব্যবসায়ীদের চার দফা দাবী আদায়ে সারাদেশে বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে এস.এস.রোডস্থ এফ.এম. কমপ্লেক্স বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার কার্যালয়ের সামনে চার দফা দাবীতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মোঃ ফকরুল ইসলাম রাকিব।
মানববন্ধন মোঃ ফকরুল ইসলাম রাকিব বলেন, “ঔষধ বিক্রয় কমিশন বৃদ্ধি করা। মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরত নেওয়া এবং প্রতিস্থাপন করা। ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিতে ঔষধ কোম্পানি কর্তৃক ঔষধ সরবরাহ বন্ধ করা ও সকল ঔষধের মূল্য সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করতে হবে।
দাবী না মানলে আবারও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের কাঙ্ক্ষিত কমিশন দিচ্ছে না। বাইরে যেখানে প্রতি দোকানদার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমিশন পায় সেখানে বাংলাদেশে মাত্র ১২% কমিশন দেওয়া হয়। এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধগুলো নিতে কোম্পানি গুলো গড়িমসি করেন। এছাড়া লাইসেন্স বিহীন দোকানগুলোতেও শুধু নয়, বিভিন্ন নাম সর্বস্ব হাসপাতাল ও মুদি দোকানেও এসব ওষুধ বিক্রি করা হয়। এই বিষয়গুলো দেখতে হবে।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন, কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু শ্রী গৌর চন্দ ঘোষ। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সহ-সভাপতি মোঃ ইউনুস আলী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহ- সভাপতি শ্রী কার্তিক চন্দ্র বর্মন, কার্যকরী কমিটির সদস্য এ.কে.এম নিয়ামুল হক রাব্বি, মোঃ সোহেল মাহমুদ, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল মমিন, মোছাঃ রুখসানা পারভীনের পক্ষে মোঃ সাকিব রহমতুল্লাহ রাফি, মোঃ আতাউর রহমান, মোঃ ইউসুফ আলী পুতুল, লিমন, তাজ উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম সহ সিরাজগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ঔষধের দোকান মালিক ও কর্মচারীবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির চার দফা দাবী নিম্নরুপ দাবী সমূহ-
* ঔষধ বিক্রয় কমিশন বৃদ্ধি করা।
* মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষধ দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরত নেওয়া এবং প্রতিস্থাপন করা।
* ড্রাগ লাইসেন্স ফার্মেসিতে ওষধ কোম্পানি কর্তৃক ওষধ বন্ধ করা।
* সকল ঔষধ এর মূল্য সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করা।