চরম ঝুঁকি এবং রাষ্ট্রের সামরিক সতর্কতা উপেক্ষা করে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ১৩ জন ইহুদি বসতি স্থাপনকারীকে আটক করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (IDF)। ঘটনাটি সীমান্ত সুরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুতর নিরাপত্তা লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ‘পাইওনিয়ার্স অব দ্য বাশান’ নামক একটি উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর সদস্যরা নতুন বসতি স্থাপনের উদ্দেশ্যে এই অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে।
সেনাবাহিনী সূত্র জানায়, ১৩ জন অনুপ্রবেশকারী দুইটি ভিন্ন স্থান দিয়ে ইসরায়েল-সিরিয়া সীমান্ত বেড়া কাটার জন্য এঙ্গেল গ্রাইন্ডার ব্যবহার করেছিল। এদের মধ্যে পাঁচজন মাউন্ট হারমন সংলগ্ন এলাকা দিয়ে এবং বাকি আটজন ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমির নিকটবর্তী সিরিয়ার গ্রাম বির আজাম এলাকার দিক থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে। সামরিক কর্মকর্তারা এটিকে "গুরুতর ঘটনা" এবং "অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড" হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন, যা সামরিক ও বেসামরিক উভয় পক্ষের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে।
সীমান্ত অতিক্রমের খবর পাওয়ার পরপরই আইডিএফ দ্রুত ঘটনাস্থলে সেনা পাঠায়। বসতি স্থাপনকারীদের শনাক্ত করার পর তাদের সঙ্গে সৈন্যদের সামান্য 'ধস্তাধস্তিও' হয় বলে সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে। এরপর সবাইকে বলপূর্বক নিরাপদে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ফিরিয়ে আনা হয়।
‘পাইওনিয়ার্স অব দ্য বাশান’ গোষ্ঠীটি গত এপ্রিলে গঠিত হয় এবং তাদের মূল দাবি হলো বাইবেল অনুযায়ী ইসরায়েলীয় গোত্রের বরাদ্দ ভূমির অংশ বাশান অঞ্চলে (দক্ষিণ সিরিয়া) ইহুদি বসতি পুনরুদ্ধার করা। এর আগেও তারা অন্তত দুইবার সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় আউটপোস্ট স্থাপনের চেষ্টা করেছিল, যা প্রতিবারই ব্যর্থ হয়। তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্ট থেকে জানা যায়, সিরিয়ার বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে তারা এই অঞ্চল দখলের সুযোগ দেখছে।
আটকের পর গোষ্ঠীটি সামাজিক মাধ্যমে দাবি করে যে, তারা "ঈশ্বরের কৃপায় পূর্বপুরুষদের ভূমি বাশানে পা রাখতে পেরেছে" এবং তারা সরকারের কাছে সেখানে স্থায়ী বসতি স্থাপনের অধিকার দাবি করে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে অভিযুক্ত ১৩ জনকেই বর্তমানে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এই ঘটনা সীমান্ত এলাকায় রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জকে আরও একবার প্রকট করে তুলল।



















