সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তে মাঠ দখল করতে এসে স্থানীয়দের ভয় পেয়ে সরে দাঁড়ালো ভারতীয় বিএসএফ।..

ছাইম ইবনে আব্বাস  avatar   
ছাইম ইবনে আব্বাস
সিলেটের সীমান্তবর্তী জাফলংয়ের নলজুরী খেলার মাঠকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে টানটান উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।..

অভিযোগ রয়েছে, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ (BSF) অহেতুক মাঠের দিকে অগ্রসর হয়ে দখল চেষ্টার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। তবে স্থানীয় সাহসী বাংলাদেশিরা সংগঠিত হয়ে দৃঢ় অবস্থানে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এতে করে বিএসএফ সদস্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নলজুরী খেলার মাঠ শুধু একটি খেলার জায়গা নয়, এটি তাদের অস্তিত্ব ও আত্মপরিচয়ের প্রতীক। দীর্ঘদিন ধরে এই মাঠটি এলাকার যুবসমাজ ও শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার কেন্দ্রবিন্দু। এর ওপর কোনো ধরনের দখল বা ষড়যন্ত্র তারা মেনে নেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারতের দিক থেকে বেশ কিছু বিএসএফ সদস্য মাঠ সংলগ্ন এলাকা দিয়ে এগিয়ে আসে। তাদের উপস্থিতি দেখে এলাকার লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে জড়ো হন এবং দৃপ্ত কণ্ঠে জানান—মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমিও কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। উত্তেজনাপূর্ণ এই অবস্থানে বিএসএফ সদস্যরা অবশেষে পিছু হটে নিজেদের সীমান্তে ফিরে যায়।

এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ জানান, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা উভয় দেশের দায়িত্ব হলেও একতরফা আগ্রাসনের প্রচেষ্টা কখনোই মেনে নেওয়া যাবে না। তারা বলেন, “আমরা আমাদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় একসাথে, একমত। জন্মভূমির প্রশ্নে কোনো আপস নয়—একচুলও নয়।”

এই ঘটনার পর বিজিবি’র (বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড) সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করা হয়।

উল্লেখ্য, নলজুরী খেলার মাঠ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে চিহ্নিত এবং স্থানীয় জনজীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। যে কোনো ধরনের সীমান্ত উত্তেজনা এড়াতে কূটনৈতিক পর্যায়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

 

نظری یافت نشد


News Card Generator