ভারি বৃষ্টিপাত কমলেও ভারতের পাহাড়ি ঢলের কারণে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। বিশেষ করে জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, ফেঞ্চুগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় পরিস্থিতি এখনও সংকটাপন্ন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপরে রয়েছে। শেওলায় পানি আছে ১৩.৫২ মিটার উচ্চতায়, যা বিপৎসীমার ০.৪৭ মিটার ওপরে। ফেঞ্চুগঞ্জে ৯.৯৮ মিটার, যা ০.৫৩ মিটার উপরে। কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি ১৩.৬৯ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে, যা বিপৎসীমার ০.৯৪ মিটার উপরে। এর মধ্যে অমলশিদে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। এখানে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ১.৯৬ মিটার উপর দিয়ে।
বন্যার ফলে জেলার ১৩টি উপজেলাসহ সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৩টি ওয়ার্ডে প্রায় ৮ লাখ ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৭২০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৬২টিতে ২২ হাজার ৬২৩ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা ও উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তবে পরিস্থিতির সম্পূর্ণ উন্নতির জন্য ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত কমার ওপর নির্ভর করছে।
পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্কতা অবলম্বন করে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
Комментариев нет