close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

সিদ্ধিরগঞ্জে পুকুরপাড়ে সন্ত্রাসের ছাপ! বস্তাবন্দী অবস্থায় দুই নারী ও এক শিশুর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি পুকুরপাড় থেকে একসাথে তিনটি বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ—দুই নারী ও এক শিশু। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য, বাড়ছে প্রশ্ন: কারা জড়িত এই নৃশংসতায়?..

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি জনবহুল এলাকায় মিলল বীভৎস দৃশ্য। স্থানীয় একটি পুকুরের পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি বস্তাবন্দী মরদেহ। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুই নারী ও একজন শিশু। শুক্রবার, ১১ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে মিজমিজি পশ্চিম পাড়া এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে এই মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় নেমে আসে আতঙ্কের ছায়া। স্থানীয়দের মুখে মুখে শুধুই এক প্রশ্ন—এদের কে হত্যা করলো এবং কেন এমন নির্মম উপায়ে মরদেহ ফেলে রেখে গেল?

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “মিজমিজি এলাকার একটি পুকুরে স্থানীয় কয়েকজন লোক বস্তাবন্দী অবস্থায় খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ দেখতে পান। সাথে সাথে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মরদেহগুলোর অবস্থা ছিল অত্যন্ত করুণ—সেগুলো খণ্ডিত এবং স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

পুলিশ সূত্র জানায়, মরদেহগুলো ছিল পচা অবস্থায়, যা দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে এক বা দুই দিন আগেই। মরদেহগুলো সাদা রঙের বস্তার ভেতরে মোড়ানো ছিল এবং গিঁট দিয়ে শক্ত করে বাঁধা ছিল। নিহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে ঘটনাস্থলে কাজ করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তারা বলছেন, “প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। মরদেহগুলোর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে। ফরেনসিক প্রতিবেদন পাওয়ার পরই স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে।”

এলাকাবাসী জানায়, মিজমিজি পশ্চিম পাড়া সাধারণত শান্তিপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানে এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। তাই স্থানীয়রা ভীত-সন্ত্রস্ত, অনেকেই তাদের সন্তানদের বাইরে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন।

এ ঘটনার পেছনে পারিবারিক শত্রুতা, দাম্পত্য কলহ কিংবা মানব পাচার চক্রের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ ইতোমধ্যেই আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে এবং বিভিন্ন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি খতিয়ে দেখছে।

তবে, কে বা কারা এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত—তা এখনো অনিশ্চিত। পুলিশ বলছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাচ্ছে না।

তদন্তের স্বার্থে পুলিশ জনসাধারণের সহায়তা কামনা করেছে। যদি কেউ এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো তথ্য জেনে থাকেন, তাদেরকে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘিরে এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে তীব্র আতঙ্ক। অনেকেই বলছেন, এ যেন এক সিনেমার কাহিনী! বাস্তবে এমন ঘটনা কল্পনাকেও হার মানায়।

Ingen kommentarer fundet


News Card Generator