close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ,bd প্রেস উইং..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
৩৭% অতিরিক্ত শুল্ক এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ, দ্রুত চূড়ান্ত করতে চলছে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা।..

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বর্ধিত শুল্ক ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে চলা আলোচনায় এসেছে বড় অগ্রগতি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধি দল এ বিষয়ে চূড়ান্ত চুক্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাঁধা হয়ে দাঁড়ানো বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্ক থেকে রেহাই পেতে চুক্তির খসড়া নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ ও দরকষাকষি।

শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বিষয়ে সর্বশেষ আলোচনা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ।

প্রসঙ্গত, এই শুল্ক সংক্রান্ত চুক্তির প্রেক্ষাপট গড়ে ওঠে ২ এপ্রিল, যখন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। বাংলাদেশের রপ্তানিপণ্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয় ৩৭ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক। এতে বাংলাদেশের পোশাক ও তৈরি পণ্য রপ্তানি খাতে ব্যাপক ধাক্কা লাগে। পরে ৯ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তিন মাসের জন্য সেই শুল্ক স্থগিত করেন, যার মেয়াদ শেষ হবে ৮ জুলাই।

এ সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ সরকার চেষ্টা করছে চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছাতে, যাতে অতিরিক্ত শুল্ক থেকে স্থায়ীভাবে রেহাই পাওয়া যায়।

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনের (ইউএনসিটিএডি) সাবেক বাণিজ্য নীতি প্রধান এবং বর্তমানে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় খুব ভালো অগ্রগতি হয়েছে। উভয় পক্ষই চুক্তিটি দ্রুত চূড়ান্ত করার জন্য কাজ করছে।

তথ্যসূত্রে জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে চুক্তির একটি খসড়া ইতোমধ্যে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশও সে খসড়ার ওপর মতামত প্রেরণ করেছে ওয়াশিংটনে। উভয় দেশের মধ্যে আগামী ২৯ জুন (রোববার) আরেক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করা হতে পারে।

সরকার আশা করছে, এই চুক্তির আওতায় অতিরিক্ত শুল্ক কমানো সম্ভব হবে এবং দেশের রপ্তানি খাত এক নতুন দিগন্তে প্রবেশ করবে।

চুক্তির সফল বাস্তবায়ন হলে তা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় সাফল্য হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প, চামড়া ও হিমায়িত খাদ্য পণ্য খাতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

Aucun commentaire trouvé


News Card Generator