এপ্রিলে শেষ হওয়া ওয়ানডে ফরম্যাটের ডিপিএলে ১১ ম্যাচে ৬১৮ রান করেন নাইম শেখ। তিনি ছিলেন আসরের তৃতীয় রান সংগ্রাহক। বিপিএল মঞ্চেও ছিলেন দারুণ ফর্মে। ১৪ ম্যাচে ৫১১ রান করেন তিনি। এই দারুণ পারফরম্যান্সের কারণে ২ বছর পর আবারো জাতীয় দলের টিকিটে পেলেন এই ওপেনার।
নাইম শেখ আসলেও দলের জায়গা হয়নি সৌম্য সরকারের। সম্প্রতি তার ওয়ানডে পারফরম্যান্স খুব একটু খারাপ ও নয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে ৫ বলের ডাকের আগের ইনিংসেই ৭৩ রান করেছিলেন তিনি। ডিপিএলে ৩৯৯ রানের মধ্যে আছে একটি সেঞ্চুরি। সৌম্যর বাদ পড়াটা তাই চমকই। এই প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক গাজি আশরাফ লিপু বলেন, তার পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো নয়। দলে জায়গা হয়নি এনামুল হক বিজয়েরও।
নাইম শেখের পাশাপাশি ২ বছর পর ওয়ানডে দলে জায়গা পেলেন শামিম হোসেন পাটোয়ারি। টি২০ দলে তিনি নিয়মিত সদস্য। তিনি সবশেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে।
শঙ্কা ছিল তাসকিন আহমেদকে নিয়ে। গোড়ালির চোট থেকে ফিরেছেন তিনি, চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন লন্ডনেও। লিপু জানিয়েছেন, ফিজিও ও স্ট্রেন্থ ট্রেনারের সঙ্গে কথা বলে তাকে দলে নেওয়া হয়েছে। তবে তাসকিন হয়তো সব ম্যাচ খেলতে পারবেন না।
এই সিরিজ দিয়েই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব শুরু করবেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই মাসেই নাজমুল শান্ত কে সড়িয়ে অধিনায়ক করা হয় মিরাজকে। ওপেনার হিসেবে নাঈম শেখ ছাড়াও রয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম।
২ জুলাই থেকে দুদল তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হবে। ৫ জুলাই দ্বিতীয় ও ৮ জুলাই হবে তৃতীয় ম্যাচ। প্রথম দুটি ম্যাচই কলম্বোতে, তৃতীয়টি পাল্লেকেল্লেতে।
বাংলাদেশের স্কোয়াড :
মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, লিটন দাস, জাকের আলী, শামিম হোসেন, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ।