close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

শিমুলিয়ায় আবারও চলবে ফেরি! পদ্মায় ফিরছে পুরনো দিনের প্রাণচাঞ্চল্য..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
শিমুলিয়া ঘাটে আবারও চালু হচ্ছে ফেরি সার্ভিস! উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. সাখাওয়াত হোসেন ঘোষণা দিলেন—ফের পদ্মায় দেখা যাবে ফেরির শব্দ, নদী বাঁচাতে হবে ড্রেজিং করে। শিমুলিয়ার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে..

পদ্মার বুকে অবস্থিত শিমুলিয়া ঘাটের পুরনো ঐতিহ্য ও গৌরব ফিরিয়ে আনতে আবারও চালু হচ্ছে ফেরি সার্ভিস। একসময়ের ব্যস্ততম এই নৌরুট আবারও ফিরে পেতে যাচ্ছে তার পুরনো চেহারা। এমন আশাব্যঞ্জক ঘোষণা দিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেছেন, "নদী বাঁচাতে হলে নিয়মিত ড্রেজিং অপরিহার্য, আর শিমুলিয়াকে আবার প্রাণবন্ত করতে ফেরি চলাচল শুরু করতে হবে।"
তিনি আরও জানান, খুব শিগগিরই ইমার্জেন্সি ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে, পাশাপাশি পদ্মার নাব্যতা রক্ষা করতে নিয়মিত ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে।

এই ঘোষণা দেওয়া হয় বৃহস্পতিবার, শিমুলিয়া ঘাটে অবস্থিত বিআইডব্লিউটিএ (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ) পরিচালিত ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও মাস্টার প্ল্যান বিষয়ক সেমিনারে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন,-শুধু ট্রেনিং নয়, নদীর নাব্য সংকট মোকাবিলা করে ফেরি চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। শিমুলিয়ার ঐতিহাসিক গুরুত্ব আমরা অস্বীকার করতে পারি না। একে ফিরিয়ে আনতেই হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা। সভাপতিত্ব করেন শিমুলিয়া ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মাস্টার মেরিন অধ্যক্ষ (অ. দা.) ক্যাপ্টেন মো. শাহজাহান

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, এই মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে যেসব বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হবে—

  • পদ্মা নদীতে নিয়মিত ড্রেজিং

  • ট্রেনিং সুবিধার সম্প্রসারণ

  • শিমুলিয়া-কাশিমপুর নৌরুটে নতুন ফেরি সার্ভিস

  • ইমার্জেন্সি ফেরি চালুর প্রস্তুতি সম্পন্ন

  • ভবিষ্যতে যাত্রী ও যানবাহন চাপ অনুযায়ী নৌযান বৃদ্ধি

শিমুলিয়া ঘাট একসময় ছিল ঢাকা-মাওয়া-কাঠালবাড়ি নৌপথের প্রাণকেন্দ্র। তবে পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে এই রুটে ফেরির প্রয়োজনীয়তা কমে আসে এবং ঘাটটি প্রায় অচল হয়ে পড়ে।

তবে পদ্মার বিভিন্ন অংশে নাব্য সংকট, ডুবোচরস্থানীয় যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা অনেক সময় চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে, আবারও ফেরি চালুর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলো।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন—নদী আমাদের জীবনের অংশ। ড্রেজিং না করলে নদী শুকিয়ে যাবে, ফেরি চলে না, প্রাণও হারিয়ে যাবে। আমরা চাই, পরিবহন, প্রশিক্ষণ আর আধুনিক ব্যবস্থাপনায় শিমুলিয়াকে ফের গর্বিত করে তোলা হোক।”

তিনি আরও বলেন,-ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি হবে। যারা নদী রক্ষা ও উন্নয়নে কাজ করবে।

নদীমাতৃক বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌঘাট ছিল শিমুলিয়া। পদ্মা সেতু চালু হলেও মানুষের প্রয়োজনে নৌযানের প্রয়োজন শেষ হয়ে যায়নি। বরং বিশেষ পরিস্থিতিতে নৌপথই হয়ে ওঠে জীবনরক্ষার একমাত্র ভরসা।

এই বাস্তবতায় শিমুলিয়ায় ফেরি সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী। ড্রেজিং কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়ন একযোগে এগিয়ে চললে, শিমুলিয়া ঘাট আবারও তার পুরনো ব্যস্ততা ফিরে পাবে—এমনটিই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

Không có bình luận nào được tìm thấy