সমাবেশে এক চোখ হারানো আন্দোলনকারী বলেন,
"আমি চোখহারা জুলাই যোদ্ধা হয়ে বলছি—এই দেশে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হতে পারে না। যারা তাদের ফিরিয়ে আনতে চায়, তাদের এ দেশেও জায়গা হবে না।"
শহীদ সাইমের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,
"আমার ছেলে যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হলো, তার অপরাধ কী ছিল? আওয়ামী লীগ যেন আর এ দেশে রাজনীতি করতে না পারে, এটাই আমার চাওয়া।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা এ বি জোবায়ের বলেন,
"জুলাই শেষ হয়নি, আমাদের যুদ্ধও না। যারা টাকার পাহাড় বানিয়েছে, তারা সত্য বিক্রি করতে চাইলেও পারবে না। আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করে গণভোটের মাধ্যমে চিরতরে বিদায় করতে হবে।"
ঘোষিত চার দফা দাবি:
১. আগামী ১০০ দিনের মধ্যে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করতে হবে এবং নির্বাহী আদেশ ও আদালতের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
-
শাপলা চত্বর অভিযানকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সহায়তায় তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
-
পিলখানা হত্যাকাণ্ড-সংক্রান্ত কমিশনের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ ও সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।
-
সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যার বিচার সংক্রান্ত ধারা যুক্ত করতে হবে।
ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি শেখ মাহবুবুর রহমান বলেন,
"আ. লীগকে নিষিদ্ধের জন্য আন্দোলন করতে হবে, এটা ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে কল্পনাও করিনি।"
আগামী কর্মসূচি
ইনকিলাব মঞ্চ জানায়, চার দফা দাবির ভিত্তিতে আগামী ১০০ দিনব্যাপী গণসংযোগ চলবে দেশের ৬৪ জেলায়।
এবং দাবি বাস্তবায়ন না হলে ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) ‘মার্চ ফর বাংলাদেশ’ কর্মসূচির আওতায় শাহবাগ থেকে সচিবালয় ঘেরাও করা হবে।