close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেছেন শিক্ষকরা। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই সমাবেশে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।
শিক্ষকদের দাবি ও স্লোগান
শিক্ষকরা সমাবেশে জোরালোভাবে তাদের এক দফা দাবি তুলে ধরেন। তারা বলেন, "এক দফা, এক দাবি, শিক্ষকদের ১০ গ্রেড", "জেগেছে রে জেগেছে, শিক্ষক সমাজ জেগেছে", এবং "আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই"। তাদের মূল দাবি হচ্ছে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১৩তম গ্রেড থেকে উন্নীত করে ১০ম গ্রেডে বাস্তবায়ন করা।
বর্তমান বেতন গ্রেডের চিত্র
বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পান, যার বেসিক বেতন ১১ হাজার টাকা। কিন্তু এই গ্রেড পরিবর্তন করে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হলে তাদের বেসিক বেতন দাঁড়াবে ১৬ হাজার টাকায়। এই পদক্ষেপ শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত জরুরি বলে দাবি করেছেন তারা।
পূর্বের মানববন্ধন ও দাবির প্রেক্ষাপট
এই দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষকরা এর আগেও আন্দোলন করেছেন। গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে তারা মানববন্ধন করেন। সেখানে তিন শতাধিক সহকারী শিক্ষক অংশ নেন। বিকাল ৩টা থেকে শুরু হওয়া মানববন্ধন বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। পরে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল হাকিমের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।
বক্তাদের বক্তব্য
বক্তারা বলেছেন, "২০১৫ সালের বেতন স্কেল এবং বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শিক্ষকদের স্বাভাবিক জীবনযাপন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করা হলে তাদের এই সমস্যার কিছুটা সমাধান সম্ভব হবে।"
তারা আরও বলেন, "সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পেলেও, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একই শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ১০ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। এমন বৈষম্য কেন? নার্স, উপসহকারী কৃষি অফিসার, পুলিশ বাহিনীর সাব-ইন্সপেক্টররা একই শিক্ষাগত যোগ্যতায় ১০ম গ্রেডে রয়েছেন। তাহলে আমরা কেন বঞ্চিত হব?"
সরকারি প্রতিশ্রুতি
মানববন্ধন শেষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিক্ষকদের দাবিগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার আশ্বাস দেন। তবে শিক্ষকদের মতে, এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
শিক্ষকদের বার্তা
শিক্ষকরা বলেন, "আমরা দেশ গড়ার কারিগর। আমাদের জীবনমান উন্নত না হলে শিক্ষার মানও উন্নত হবে না।" তারা আরও জানান, তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন।
শেষ কথা
প্রাথমিক শিক্ষকদের এই আন্দোলন একটি ন্যায্য দাবির প্রতিফলন। শিক্ষকরা আশা করেন, সরকার তাদের দাবি পূরণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
Walang nakitang komento



















