তবে জাকির হোসেন একমাত্র ব্যক্তি নন, যিনি শেখ মুজিবুর রহমান বা তার পরিবারের বন্দনা করে বই লিখে সরকারিভাবে বিপুল অর্থ পেয়েছেন। ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ১৯ হাজারের বেশি বই সরকারি টাকায় ক্রয় ও বিতরণ করা হয়েছে। তালিকার অধিকাংশই শেখ মুজিব, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও শেখ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে লেখা বই। বইগুলোর লেখক তালিকায় রয়েছেন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, আমলা, এমনকি মন্ত্রিসভার সদস্যরাও।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই বইগুলোর অধিকাংশই মানহীন, অখ্যাত লেখকদের লেখা এবং সেগুলোর বাজার মূল্য থেকেও ৫০-৬০ শতাংশ বেশি দামে কেনা হয়েছে। রকমারিসহ অন্যান্য অনলাইন স্টোরে যেসব বই পাওয়া যায় ২০০ টাকায়, সেগুলোর দাম সরকারি ক্রয়ে দেখানো হয়েছে ৩০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এবং গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের বরাতে জানা যায়, এই দুটি প্রতিষ্ঠান দেশের শত শত সরকারি-বেসরকারি পাঠাগারে আর্থিক অনুদান ও বই সহায়তা দিয়ে থাকে। অনুদানের নামে পাঠাগারে পাঠানো এসব বই যে উদ্দেশ্যে বরাদ্দকৃত অর্থের অপব্যবহার এবং এক ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, তা বলছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
একজন দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার প্রতিনিধি বলেন, "সরকারি অর্থে যেভাবে দলীয় গোষ্ঠীকে উপকৃত করে বই কেনা হয়েছে, তা শুধু অনিয়ম নয়, এটি জনগণের অর্থের সুস্পষ্ট অপচয়।"
এছাড়াও এই তালিকায় আছে একাধিকবার একই বই কেনার নজির, অস্বাভাবিক দাম, এমনকি একটি বই একই অর্থবছরে একাধিকবার ভিন্ন ভিন্ন দামে কেনারও প্রমাণ মিলেছে।
এই রিপোর্টের পর আপনি চাইলে নিচে বিভিন্ন উপশিরোনাম দিতে পারেন, যেমন:
-
কারা কারা এই বই বাণিজ্যে জড়িত?
-
রকমারির দাম বনাম সরকারি ক্রয়মূল্য
-
বইগুলো কোথায়, কারা পড়ছেন?
-
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ও গণগ্রন্থাগারের ভূমিকা
-
দুদক বা নিরীক্ষা রিপোর্ট কী বলছে?