close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
শেখ হাসিনার পতনের পরও ভারতের সমর্থন অব্যাহত, বাংলাদেশ পাচ্ছে আগের মতোই সহায়তা!


নয়াদিল্লি: শেখ হাসিনার ক্ষমতা হারানোর পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে বলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা থাকলেও, ভারতের বাজেটে বাংলাদেশের জন্য সহায়তা বরাদ্দ অপরিবর্তিত রয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ভারত বাংলাদেশকে ১২০ কোটি রুপি সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা চলতি অর্থবছরেও একই ছিল।
ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেটে বিদেশি সহায়তা খাতে এবার বরাদ্দ কিছুটা কমানো হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই খাতে ৫,৮০৬ কোটি রুপি বরাদ্দ থাকলেও, নতুন অর্থবছরে তা কমিয়ে ৫,৪৮৩ কোটি রুপি করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে, যা ভারতের কৌশলগত সিদ্ধান্তের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
নেপাল ও মালদ্বীপের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি, আফগানিস্তান-মিয়ানমার বঞ্চিত
নেপাল ও মালদ্বীপের মতো কিছু দেশ ভারত থেকে আরও বেশি সহায়তা পাচ্ছে। নেপালকে ২,১৫০ কোটি রুপি এবং মালদ্বীপকে ৬০০ কোটি রুপি দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের জন্য বরাদ্দ কমানো হয়েছে। আফগানিস্তানকে ২০০ কোটি রুপির পরিবর্তে ১০০ কোটি রুপি এবং মিয়ানমারকে ৩৫০ কোটি রুপি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা আগের তুলনায় ৫০ কোটি রুপি কম।
শ্রীলঙ্কার জন্য বরাদ্দ ৩০০ কোটি রুপি অপরিবর্তিত রয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য বরাদ্দ ২৫ কোটি রুপি বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা ভারতের ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের কৌশলেরই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রতি ভারতের কৌশলগত স্থিরতা
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার শাসনামলে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক দৃঢ় ছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনার সরকারকে ভারত একপেশে সমর্থন দিয়ে এসেছে, যার কারণে বিরোধী দল এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। তবে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
ভারতের অন্যতম প্রধান সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও ভারতের বাজেটে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ কী? ভারত কি তাকে ফেরত দেবে?
শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা চলছে, এবং বাংলাদেশ থেকে তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, "বাংলাদেশের অনুরোধ গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চুক্তি অনুসারে বিষয়টি সমাধান করা হবে।"
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শেখ হাসিনার সরকারকে অতীতের মতো সমর্থন দিলেও ভারত তার ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো বড় পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও সহায়তা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে ভারত কৌশলগতভাবে নিজের স্বার্থ রক্ষা করছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কী হবে?
শেখ হাসিনার পতনের পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন দিকে মোড় নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকারকে দীর্ঘদিন ভারত সমর্থন দিয়ে এলেও, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় ভারত নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। ফলে আগামী দিনে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের চিত্র কেমন হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
कोई टिप्पणी नहीं मिली