close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচার করলে, মিডিয়া তাকে সহযোগিতা করছে: হাসনাত আবদুল্লাহর তীব্র মন্তব্য

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ গতকাল রাজধানীর বাংলামোটরে এক সংবাদ সম্মেলনে তীব্র ভাষায় মন্তব্য করেছেন, “শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কসাই। তাঁর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ গতকাল রাজধানীর বাংলামোটরে এক সংবাদ সম্মেলনে তীব্র ভাষায় মন্তব্য করেছেন, “শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কসাই। তাঁর ভাষণ যদি কোনো গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, ওই গণমাধ্যম শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করছে।” এই মন্তব্য তিনি তার দল এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে চালু হওয়া ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক জনমত কর্মসূচির প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে করেছিলেন। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগের চ্যাপ্টার চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে। তারা যদি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ হতো, তাহলে ৫ আগস্ট পালিয়ে না গিয়ে এই দেশে অবস্থান করত।” তার ভাষায়, “মিডিয়াতে এখনও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্টো করা হয়। কিন্তু তিনি কি আসলেই ‘সাবেক’ প্রধানমন্ত্রী? না কি ফ্যাসিবাদের ‘বুচার অব দিস মাদারল্যান্ড’? উনি বাংলাদেশের কসাই। উনি Chair টিকিয়ে রাখতে দুই হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন। কেন মিডিয়ায় তাকে ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনা বলা হয় না?” হাসনাত আরও বলেন, “আমরা ৫ আগস্টের পর হাসিনা ও ছাত্রলীগের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, এই দেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের পরিণতি না হলে, হাসিনা ও তার ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন হতে দেওয়া হবে না।” বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “হাসিনার ভাষণ যদি এখনো কোনো গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়, তবে সেটি সে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করার শামিল। মিডিয়া যদি তাকে ‘ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনা’ লিখতে না পারে, তবে তারা আওয়ামী কাঠামো বা মিডিয়া ব্যবস্থার সিলসিলা অব্যাহত রাখছে।” সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন প্রমুখ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও একটি পোস্ট দিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়। পোস্টে বলা হয়, “খুনি, গণহত্যাকারী, ফ্যাসিস্ট হাসিনার কোনো বক্তব্য যদি মিডিয়াতে প্রচার করা হয়, সেটার পরিণতি সেই মিডিয়াকেই নিতে হবে।” বিশেষ মন্তব্য: এই সংবাদ সম্মেলন এবং পোস্টের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আরও একবার তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। তাদের দাবি, গণমাধ্যম যদি শেখ হাসিনার ভাষণ বা বক্তব্য প্রচার করে, তাহলে সেটি তাদের সহযোগিতার অংশ হিসেবে দেখা হবে।
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি