close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
শাহবাগে তৃতীয় দিনের মতো ইবতেদায়ি শিক্ষকদের অবস্থান: স্বতন্ত্র মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে অটল আন্দোলন


ঢাকা: স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের আন্দোলন আরও তীব্র হয়েছে। তারা সরকারের কাছে ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর জাতীয়করণের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ, ২৮ জানুয়ারি (মঙ্গলবার), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে তারা তাদের অবস্থান নিয়েছেন। এটি তাদের দশম দিনের আন্দোলন, এবং টানা তৃতীয় দিনও তারা একই স্থানে অবস্থান করছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।
শিক্ষকদের দৃঢ় মনোভাব: দাবি না মানলে আত্মাহুতি দেওয়ার প্রস্তুতি
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার গভীরতা স্পষ্ট। তারা জানাচ্ছেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে তারা বেতন পাচ্ছেন না, অথচ তাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রা চলছে কঠিন সমস্যার মধ্যে। তারা বলছেন, "আমরা অনেক কষ্টে আছি। আমাদের বেতন নেই, এবং সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাহায্যও পাচ্ছি না। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান ত্যাগ করব না, প্রয়োজনে অনাহারে মরতেও প্রস্তুত।"
টিএসসি থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ
অবস্থান কর্মসূচির কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শাহবাগ পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এই রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বিরাট সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের হামলা: আহত বহু শিক্ষক
গত রোববার অনুষ্ঠিত ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া এবং জলকামান ব্যবহার করে। এই হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হয়েছেন। আন্দোলনকারীরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং বলেছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দাবি জানাচ্ছিলেন, অথচ পুলিশ তাদের উপর আক্রমণ করে। তারা আরও বলেন, "আমাদের মৌলিক অধিকারটুকু চাওয়ার জন্য আমাদের এইভাবে আঘাত করা হয়েছে, এটা অত্যন্ত ন্যায়ের বিরুদ্ধে।"
রাজনৈতিক চাপ ও জাতীয়করণের দাবি
ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা সরকারের কাছে তাদের দাবি পূরণের জন্য রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করার আশ্বাস দিয়েছেন। তারা বলছেন, "আমাদের দীর্ঘ দিনের সংগ্রাম সত্ত্বেও যদি আমাদের দাবি পূর্ণ না হয়, তবে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।"
এই আন্দোলনটি এখন শুধু শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যার প্রতিফলন নয়, বরং বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যুতেও পরিণত হয়েছে। ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকরা আশা করছেন, সরকারের কাছে তাদের কষ্টের সমাধান আসবে এবং তারা শিগগিরই তাদের অধিকার ফিরে পাবেন।
Inga kommentarer hittades