close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

শাহবাগে সহকারী শিক্ষক পদের পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, এনটিআরসিএ ভবন ঘেরাও..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Assistant teacher candidates protested and besieged the NTRCA building in Shahbagh, demanding certificates for all candidates who passed the written and oral exams, opposing alleged unfair failures in..

সহকারী শিক্ষক পদে মৌখিক পরীক্ষায় বঞ্চিত প্রার্থীরা শাহবাগে বিক্ষোভ-ঘেরাও করছে, সকলকে সনদ প্রদানের দাবিতে। তারা বলছে, ইচ্ছাকৃতভাবে অনেককে ফেল করা হয়েছে।

রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় সহকারী শিক্ষক পদে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল এবং এনটিআরসিএ ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন। তাদের প্রধান দাবি ছিল, মৌখিক পরীক্ষায় যারা ফেল হয়েছে তাদেরও সনদ প্রদান করা হোক।

সোমবার (৭ জুলাই) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি শিক্ষার্থীদের এক বৃহত্তর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তারা অভিযোগ করেন, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৮৩ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রায় ২৩ হাজারকে অকৃতকার্য ঘোষণা করা হয়েছে, যা অন্যায়ের শামিল। বিক্ষুব্ধ প্রার্থীরা দাবি করেন, মৌখিক পরীক্ষায় ফেল দেখানো হলেও তাদের সনদ দেওয়া উচিত, কারণ তারা লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছে।

বিক্ষোভকারীদের একজন জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা বৈষম্যের শিকার হয়েছি। মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল অসম্পূর্ণ ও অবিচারমূলক। যারা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে, তাদের সবাইকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের উচিত সনদ প্রদান নিশ্চিত করা।

এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ করেন, প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে এবং মৌখিক পরীক্ষায় অনিয়ম হচ্ছে। এই অবস্থায় প্রার্থীরা আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের দাবি আদায় করতে বদ্ধপরিকর।

বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে অনেক শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পরও তারা সনদ না পাওয়ায় তাদের ক্যারিয়ার ধুঁকছে। অনেকের বাড়ি-পরিবারের দায়িত্ব রয়েছে, আর চাকরির নিশ্চয়তা না থাকায় ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

শাহবাগে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে তারা সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে অবিচার বন্ধ করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ হলেও শিক্ষার্থীদের অবস্থান এখনো কঠোর। তাদের দাবি না মেনে চললে বিক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

کوئی تبصرہ نہیں ملا