close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
শাহবাগে পুলিশের লাঠিচার্জ ও জলকামান: সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে উত্তেজনা
রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের চূড়ান্ত ফলাফলে সুপারিশপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা রাস্তায় অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আন্দোলন ও পুলিশের কঠোর ব্যবস্থা
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত আন্দোলনকারীরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। তাদের অভিযোগ, সরকারই তাদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল, কিন্তু পরে সেই নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এ ঘটনাকে তারা চরম বৈষম্যমূলক ও প্রতারণা হিসেবে দেখছেন।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করে, লাঠিচার্জ করে এবং জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশের কঠোর পদক্ষেপের পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে এবং সীমিত পরিসরে যান চলাচল শুরু হয়।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য
শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলনে অংশ নেওয়া একজন বিক্ষোভকারী সাব্বির সাদেক বলেন, "যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এখান থেকে সরবো না।"
আরেক আন্দোলনকারী বলেন, "সরকার যদি আমাদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে পারে, তবে সেটি বাতিলও করতে পারে না। এটি আমাদের সাথে অন্যায় হয়েছে। আমরা চাই, দ্রুত আমাদের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হোক।"
হাইকোর্টের রায় ও প্রেক্ষাপট
গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিলের রায় দেন। আদালত মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগের নির্দেশনা প্রদান করেন। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
এর আগে, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ সালে হাইকোর্ট এই নিয়োগ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন। এরপর চূড়ান্তভাবে নিয়োগ বাতিলের রায় আসে, যা আন্দোলনকারীদের ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।
পরবর্তী করণীয়
নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের দাবি, সরকার দ্রুত তাদের পুনঃনিয়োগ নিশ্চিত করুক। তারা জানিয়ে দিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। পুলিশের কঠোর অবস্থানের পরও আন্দোলনকারীরা সরে যেতে রাজি হননি। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি



















