close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

শ ত্রু কে শাস্তি দিতে কঠিন অঙ্গীকার খা মেনির

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি ঘোষণা দিয়েছেন—ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রকে শাস্তি পেতেই হবে। পারমাণবিক হামলার পর হুমকি আরও স্পষ্ট করেছেন তিনি। নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় নিয়েছেন বাঙ্কারে।..

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জোটবদ্ধ সামরিক আক্রমণের জবাবে ‘অসহনীয় প্রতিশোধ’ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি সরাসরি বলেন, “জায়নবাদী শত্রুরা বড় ভুল করেছে, বড় অপরাধ করেছে—এদের শাস্তি হবেই। তারা সেই শাস্তি এখন থেকেই পাচ্ছে।

সোমবার এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই কঠোর বার্তা দেন তিনি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গত ১৩ জুন ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে আকস্মিক একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করে ইরানের অভ্যন্তরে। এই অভিযানের প্রথম ধাক্কাতেই প্রাণ হারান ইরানের সেনাপ্রধানসহ ২০ জন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু বিজ্ঞানী। ঘটনা কেবল এখানেই থেমে থাকেনি।

এই হামলার জবাবে ইরান শুরু করে পাল্টা সামরিক প্রতিশোধ। দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘাত, যা টানা ৯ দিন ধরে চলতে থাকে। সর্বশেষ, ২১ জুন রাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় চালায় ভয়াবহ ক্লাস্টার বোমা হামলা। এই হামলা ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দেয়।

নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে আয়াতুল্লাহ খামেনি সংঘাতের শুরু থেকেই তার বাসভবন ছেড়ে রাজধানী তেহরানের একটি গোপন বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। বলা হচ্ছে, এই সময় তিনি সরাসরি যোগাযোগ অনেকটাই বন্ধ রেখেছেন এবং কেবলমাত্র নিকটতম উপদেষ্টাদের সাথেই সীমিতভাবে পরামর্শ করছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, খামেনির এই রকম প্রতিক্রিয়া এবং বাঙ্কারে অবস্থান একটি সম্ভাব্য যুদ্ধের ইঙ্গিত বহন করছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে কয়েক দফা সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে এই নিয়ে—ইরান যদি তার সর্বোচ্চ নেতাকে হারায়, তাহলে ভবিষ্যতে তাদের নেতৃত্ব কাঠামো কেমন হবে?

এই আশঙ্কা মাথায় রেখে খামেনি ইতিমধ্যেই তার মৃত্যুর ক্ষেত্রে নেতৃত্ব বাছাইয়ের জন্য বিশেষ গাইডলাইন দিয়ে গেছেন বলে দাবি করেছে ইরানের একটি গোপন নিরাপত্তা সূত্র।

তবে এতসব কিছুর মধ্যেও ইরান কোনোভাবেই মাথা নত করবে না বলেই জোর দিয়ে বলেছেন খামেনি। তার ভাষায়, “শত্রুরা মনে করছে তারা আমাদের ভেঙে দেবে। কিন্তু তারা জানে না—ইরান কখনও মাথা নত করে না। আমরা এই আঘাতের বদলা নেব, এবং শত্রুরা তার মূল্য চুকিয়ে ছাড়বে।”

বিশ্ব কূটনৈতিক অঙ্গনে এখন প্রতিদিনই বাড়ছে উদ্বেগ। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের এই জোটবদ্ধ হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান যদি বড় ধরনের প্রতিশোধ নেয়, তাহলে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে, এমনকি বিশ্ব রাজনীতিতেও এর ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Hiçbir yorum bulunamadı


News Card Generator